মণিপুরে লুট হওয়া অস্ত্র পুনরুদ্ধারে অভিযান পুলিশের। ছবি: সংগৃহীত।
হিংসা ঠেকাতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করল মণিপুর পুলিশ। ছিনতাই হওয়া সরকারি অস্ত্র এবং গুলি উদ্ধারের পাশাপাশি অবাধ যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ এবং নজরদারির উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলিতে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। আর তাতে ফলও মিলছে হাতেহাতে। বুধবার কংপোকপি জেলায় গোপন বাঙ্কার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র।
গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে। আদি বাসিন্দা মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে জনজাতি কুকিদের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো প্রাণহানি দেখেছে মণিপুর। মূলত ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, থৌবল, চূড়াচাঁদপুর এবং কংপোকপি জেলায় ঘটেছে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা।
হিংসার প্রাথমিক পর্বে বিভিন্ন থানা এমনকি, জেলা পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে ৩,৫০০ আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রায় ৫ লক্ষ গোলাগুলি লুট হয়েছে মণিপুরে। তার বড় অংশই উদ্ধার করতে পারেনি নিরাপত্তা বাহিনী। রাজ্যে শান্তি ফেরানোর পথে এই সব উধাও হয়ে যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র বড় অন্তরায় বলে মনে করছে মণিপুর পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে মেইতেই এবং কুকি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে ১২৮টি চেকপোস্ট বসিয়ে শুরু হয়েছে কড়া নজরদারির কাজ। তাতে ফলও মিলছে বলে মণিপুর পুলিশের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy