—প্রতীকী ছবি
মায়ানমার, বাংলাদেশ, গারো পাহাড় তার কর্মভূমি হলেও আলফার কমান্ডার তথা বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দৃষ্টি রাজখোয়ার আসল প্রশিক্ষণ হয়েছিল পাকিস্তানে। আত্মসমর্পণের পরে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর জেরায় এমনটাই জানিয়েছে দৃষ্টি ওরফে মনোজ রাভা।
পুলিশ সূত্রের খবর, দৃষ্টি ১৯৮৮ সালে আলফায় যোগ দিয়েছিল। জেরায় সে কবুল করেছে, বিস্ফোরকের প্রশিক্ষণ নিয়েছিল পাকিস্তানে। তার আগে দীর্ঘ প্রশিক্ষণ পেয়েছে মায়ানমারে। খাসি ব্যক্তির ভুয়ো পরিচয়ে তার পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। এর পর সে এবং আরও ছয় জঙ্গি আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে, পেশোয়ারের অদূরে এক এলাকায় রকেট প্রপেল্ড গ্রেনেড, আইইডি ও অন্যান্য বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নেয়। দলের ২ সদস্য ছিল ত্রিপুরার জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।
আরও জানা গিয়েছে, আলফার অন্তত চারটি ব্যাচ পেশোয়ারে প্রশিক্ষণ পেয়েছিল। আাদতে গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা মনোজ ওরফে দৃষ্টি দীর্ঘদিন ধরেই গারো পাহাড়ে জিএনএলএ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করত। মেঘালয় পুলিশের দাবি, গারো পাহাড়ে নিরাপত্তাবাহিনীকে নিশানা করে ঘটানো বহু বিস্ফোরণে দৃষ্টির হাত রয়েছে।
দৃষ্টির সঙ্গে আত্মসমর্পণ করা চার জঙ্গির মধ্যে এক জনই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এক জঙ্গি আবার বাংলাদেশের শেরপুরের নাগরিক। দৃষ্টিরা মেঘালয়-বাংলাদেশে যাতায়াতের সময় শেরপুরে থাকত। সেই সময় থেকেই মিঠু ওরফে রঙ্গিলা নামের কিশোর দৃষ্টিদের খাবার আনা ও লিংকম্যানের কাজ করত। পরে পুলিশ তার পিছনে লাগলে সে আলফায় যোগ দেয় ও দৃ্ষ্টির ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে ফিরলেই সে দেশের পুলিশ তাকে ধরবে তাই সে ভারতে আশ্রয় চাইছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy