প্রতীকী ছবি।
এনডিটিভি বিতর্কে মতপার্থক্য এখন নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার মধ্যেই।
গোড়া থেকেই এই তল্লাশিতে নীতিগত ভাবে সায় ছিল না অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে ওই তল্লাশি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন আরও অনেক মন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রীদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে বুঝে প্রধানমন্ত্রী আজ কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে গোটা বিষয়টি সতীর্থদের ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে বেঙ্কাইয়া ঘরোয়া ভাবে সতীর্থদের বলেন— এটি ব্যক্তিগত ভাবে কারওর বিরুদ্ধে, বা কোনও মিডিয়া সংস্থার বিরুদ্ধে তল্লাশি নয়। সংস্থা ও ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে যোগসাজশে যে অনিয়ম ঘটছে, তা বন্ধ করতে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এনডিটিভি কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছেন, ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা-সাংবাদিক প্রণয় রায়ের বাড়ির পাশাপাশি সিবিআই গোয়েন্দারা তাঁদের দফতরেও হানা দিয়েছিলেন। আজ মন্ত্রিসভার বাইরেও বেঙ্কাইয়া বিবৃতি দিয়ে সেই অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, ‘‘এনডিটিভি-র দফতরে কোনও তল্লাশি হয়নি। ওই সংবাদমাধ্যমের নিউজ রুম বা স্টুডিওতে সিবিআই ঢোকেনি।’’ এনডিটিভি-র বিরুদ্ধে সরকারের কোনও প্রতিহিংসামূলক মনোভাব নেই বলে মন্তব্য করেও, বেঙ্কাইয়া জানিয়েছেন— সংবাদমাধ্যম আইনের ঊর্ধ্বে, এটা ভেবে নেওয়াও ঠিক নয়। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘প্রণয় রায় ও রাধিকা রায়ের কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন যখন উঠেছে, তখন আইনের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’’
তবে অরুণ জেটলি-সহ বেশি কিছু মন্ত্রী মনে করছেন, এই ঘটনায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতটা কঠোর অবস্থান থেকে সরকারের সরে আসা উচিত। সূত্রের খবর, এনডিটিভি-তে তল্লাশির ঘটনার পরে সরকার কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে। তাই জেটলির মতো মন্ত্রীরা এখন বলছেন— সিবিআই তদন্ত চললে চলুক, কিন্তু তা নিয়ে খুব বেশি ঢাক না-পেটানোই ভাল।
এর মধ্যেই সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অটলবিহারী সরকারের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অরুণ শৌরি। তিনি বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত, এ ঘটনা অন্য চ্যানেলগুলির প্রতি একটি সতর্কবার্তা। সরকার-বিরোধিতার পথে হাঁটলে এমন ঘটনা তাদের জন্যও অপেক্ষা করছে!’’ বিশিষ্ট এই সাংবাদিকের কথায়— আগে বিজ্ঞাপনের নামে ঘুষ দিয়ে বা গোপনে ভয় দেখিয়ে বাগে আনার চেষ্টা হতো। কিন্তু এখন তৃতীয় পথ নিয়েছে মোদী সরকার— প্রকাশ্যে ভয় দেখানো। এই সরকারের মেয়াদ যত বাড়বে, এ ধরনের আক্রমণও তত বাড়বে বলে আশঙ্কা শৌরির। তাঁর কথায়, ‘‘সরকারের দাবি ও জনগনের বাস্তব অনুভবের মধ্যে এখনই দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে। এটা আরও বাড়বে। মিডিয়ার ওপর সরকারি দমননীতিও তাই বাড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy