দু’হাতে পিস্তল ধরা। বয়স মেরেকেটে ১৮। স্ট্রেট করা লম্বা চুল। ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে লেখা— ‘নাম বদনাম, পাতা কবরিস্তান, উম্র জিনে কী, শওক মরনে কা!’ যাঁর প্রোফাইল, সেই তরুণ আর কেউ নন, মহম্মদ সমীর ওরফে মায়া। আর উত্তর-পশ্চিম দিল্লির ত্রাস এখন এই তরুণ। আর তাঁর নামেই তৈরি হয়েছে ‘মায়া গ্যাং’। যে গ্যাং দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজধানীর বুকে। এ বার সেই ‘মায়া গ্যাং’-এরই নাম জড়াল অ্যামাজ়ন কর্তা খুনে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ অ্যামাজ়নের ম্যানেজার হরপ্রীত গিল এবং তাঁর সঙ্গী গোবিন্দ একটি বাইকে করে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে পার্টি সেরে ফিরছিলেন মায়া, গনি, সোহেল, মহম্মদ জুনেইদ এবং আদনান নামে এক দল তরুণ। রাস্তা সরু থাকায় হরপ্রীতদের বাইকের সঙ্গে মায়াদের একটি স্কুটারের ঘষা লেগে যায়। আর সেখান থেকেই বচসার সূত্রপাত। তার পরই হরপ্রীত এবং গোবিন্দকে গুলি করেন মায়ারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হরপ্রীতের। গোবিন্দ গুরুতর জখম।
আরও পড়ুন:
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, যাঁদের সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে হরপ্রীতদের ঝামেলা হয়েছিল, তাঁরা ‘মায়া গ্যাং’-এর সদস্য। আর সেই গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দেন মহম্মদ সমীর ওরফে মায়া। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, সমীরের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা গিয়েছে কোনওটিতে বন্দুক হাতে ছবি। বেশ কিছু ইনস্টা রিলও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সদ্য আঠারোতে পা দিয়েছেন মায়া। কিশোর অবস্থাতেই চারটি খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর সঙ্গী গনিও আঠারোতে পড়েছে। গত বছর ডাকাতি এবং খুনের মামলায় শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে বেরিয়ে একটি ঝালাইয়ের দোকানে কাজ করছিলেন। আর সেখান থেকেই ‘মায়া গ্যাং’-এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। অ্যামাজ়ন কর্তা হরপ্রীতকে খুনের ঘটনায় মায়া এবং তাঁর সঙ্গী গনি ধরা পড়লেও বাকিরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।