লখনউ হোক অথবা নয়াদিল্লির দলীয় কার্যালয়। বিএসপি নেত্রী মায়াবতী তাঁর সাংবাদিক সম্মেলনের ধাঁচটি কখনও বদলান না। যদি তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন নেন, তা হলে তা হয় খুব কম সময়ের জন্য। নয়তো আগে থেকে লিখে আনা বক্তৃতা হুবহু পড়ে চলে যান। অখিলেশ সিংহ যাদব-সহ তাঁর রাজনৈতিক সতীর্থরা যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্টই সক্রিয়, দলিত নেত্রী টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব ছুঁয়েও দেখেননি কোনও দিন।
উনিশের ভোটের আগে এই চিত্র বদলাচ্ছে। লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বীর অনুরোধ এবং পরামর্শে মত বদলেছেন নেত্রী। প্রথম টুইটটি করে তিনি আগমন বার্তা ঘোষণা করেছেন। উনিশের ভোটে বিজেপিকে সোশ্যাল মিডিয়ার জমিটুকুও যে ছাড়তে রাজি নন তিনি, সেটাও এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতির লোকজন। বিএসপির তরফে জানানো হয়েছে, সংবাদমাধ্যম, জনগণ ও বিশেষ করে যুবসমাজের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের জন্য এই মাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন মায়াবতী।
দলের তরফে টুইটার অ্যাকাউন্টটি তৈরি করা হয়েছিল গত অক্টোবরেই। মাস আড়াই তাতে কিছু লেখেননি মায়াবতী। ১৩ জানুয়ারি লখনউয়ে গিয়ে তাঁকে টুইটারের গুরুত্ব বোঝান তেজস্বী। ২২ জানুয়ারি টুইটারে প্রবেশের প্রথম বার্তা দেন দলিত নেত্রী। প্রথম টুইটে লেখেন, ‘‘প্রিয় ভাই ও বোনেরা। টুইটার পরিবারকে সম্মান জানিয়ে আমি এর অন্তর্ভুক্ত হলাম। ভবিষ্যতে এই অফিসিয়াল হ্যান্ডেলটিতে আমি সমস্ত খবর দেব, মানুষের সঙ্গে কথা বলব।’’ তার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩টি টুইট করেছেন মায়াবতী। সবই দলের প্রেস বিবৃতি।
লালু-পুত্র টুইট করেছেন, ‘‘আপনাকে এখানে দেখে খুবই আনন্দিত। আরও খুশি এই কারণে যে, আমার অনুরোধকে আপনি গ্রাহ্য করেছেন।’’ মায়াবতী টুইটারে রয়েছেন এই খবরটি প্রকাশের এক ঘন্টার মধ্যে তাঁর ফলোয়ার ১১ হাজার ছাড়ায়। তিনি এখন ফলো করছেন মাত্র এক জনকে, ফলোয়ারের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৪ হাজার। তবে অন্য নেতাদের নিরিখে সংখ্যাটা খুব বেশি নয়। তাঁর জোটসঙ্গী অখিলেশ দীর্ঘদিন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর টুইটার ফলোয়ার ৯০ লক্ষের কাছাকাছি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বহেনজির প্রধান প্রতিপক্ষ যোগী আদিত্যনাথের ফলোয়ারের সংখ্যা ৩৩ লক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy