সমর্থকদের কাছে জন্মদিনের উপহার চাইলেন মায়াবতী। ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদীর মঙ্গলবারের সাক্ষাৎকারকে ‘একতরফা’ বলে কটাক্ষ করলেন বহুজন সমাজ পার্টি-র(বিএসপি) প্রধান মায়াবতী।
টিভি সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী সার্জিকাল স্ট্রাইক, রাম মন্দির নির্মাণ, রাফাল চুক্তি, শবরীমালা, কৃষিঋণ-সহ একাধিক বিষয়ে উত্তর দিয়েছেন। বুধবার মায়াবতীর দাবি, ওই সাক্ষাৎকারে দেশবাসীকে নতুন কোনও বার্তা দিতে পারেননি মোদী। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘‘দেশ এবং দেশবাসীর স্বার্থে সততা ও সংবেদনশীলতা দেখানোর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা না করে প্রধানমন্ত্রী একতরফা তাঁর দল এবং সরকারের কাজের ফিরিস্তি দিয়েছেন।’’
অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। রাম মন্দির নির্মাণে আইনি প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার জন্য মঙ্গলবার কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। মায়াবতী এ দিন বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা এখনও মনে করছেন, তাঁরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, মানুষ তা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সমর্থন করবেন।’’ বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যের অভিযোগও তুলেছেন বিএসপি নেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে বিজেপি হারলেও তাদের সমানই ভোট পেয়েছে কংগ্রেস। ফলে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ঔদ্ধত্য এখনও যায়নি। লোকসভা ভোটে হারের পরেই ওই ঔদ্ধত্য যাবে।’’ দলিত নেত্রীর দাবি, বিজেপির সঙ্গে আর মানুষ নেই। তাঁর তির্যক মন্তব্য, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে আর জনতা নেই। ওরা ‘ভারতীয় পার্টি’তে পরিণত হবে। আসন্ন লোকসভা ভোটে সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে।’’
মোদীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়াও। সাক্ষাৎকারে মোদী বলেছিলেন, কৃষিঋণ মকুব করে লাভ নেই। ওই মন্তব্যের সমালোচনা করে দেবগৌড়া টুইট করে জানিয়েছেন, কর্ণাটকে ষাট হাজারের বেশি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছেছে। টুইটে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘আপনি আমাদের দিকে আঙুল তুলে প্রশ্ন করেছেন! তা হলে নিজের দিকেও অন্য আঙুল তুলে প্রশ্ন করুন নোট বাতিল, রাম মন্দির-সহ অন্য প্রতিশ্রুতিগুলির কী হল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy