Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বন্ধ্যাকরণ কাণ্ডে ধৃত ওষুধ সংস্থার প্রধান

কর্তব্যরত শল্যচিকিৎসক গ্রেফতার হয়েছিলেন বৃহস্পতিবার। আর শুক্রবার গ্রেফতার হলেন এক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার ডিরেক্টর ও তাঁর ছেলে। ছত্তীসগঢ় পুলিশের দাবি, গত শনিবার বন্ধ্যাকরণের জন্য অস্ত্রোপচারের পর রোগিণীদের ওই সংস্থারই তৈরি ওষুধ খেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন ধৃত শল্য-চিকিৎসক। যা খেয়ে মৃত্যু হয় ১৩ জনের। খাদ্য ও ওষুধ প্রক্রিয়াকরণ দফতরের প্রাথমিক ধারণা, নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ করেছিল ওই সংস্থা। তার জেরেই বিপত্তি। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ এ দিন ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

সংবাদ সংস্থা
রায়পুর শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৫৪
Share: Save:

কর্তব্যরত শল্যচিকিৎসক গ্রেফতার হয়েছিলেন বৃহস্পতিবার। আর শুক্রবার গ্রেফতার হলেন এক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার ডিরেক্টর ও তাঁর ছেলে। ছত্তীসগঢ় পুলিশের দাবি, গত শনিবার বন্ধ্যাকরণের জন্য অস্ত্রোপচারের পর রোগিণীদের ওই সংস্থারই তৈরি ওষুধ খেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন ধৃত শল্য-চিকিৎসক। যা খেয়ে মৃত্যু হয় ১৩ জনের। খাদ্য ও ওষুধ প্রক্রিয়াকরণ দফতরের প্রাথমিক ধারণা, নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ করেছিল ওই সংস্থা। তার জেরেই বিপত্তি। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ এ দিন ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ডিরেক্টরের নাম রমেশ মাওয়ার। তাঁর ছেলের নাম সুমিত। ওই ওষুধ সংস্থার একটি ইউনিটে গত কাল অভিযান চালিয়েছিল এফডিএ। সেখান থেকে পাওয়া নমুনা দেখে প্রাথমিক ভাবে এফডিএ-র ধারণা, সেগুলি অত্যন্ত নিম্ন মানের। ইউনিটটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। ধৃত দু’জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা রুজু করা হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন রায়পুরের পুলিশ সুপার ও পি পাল। তা বাদে ওই সংস্থার সব ওষুধ যাতে বিক্রি করা না হয়, সে মর্মেও বিক্রেতাদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

এই সংস্থা ছাড়াও আরও একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার ইউনিটে গত কাল অভিযান চালায় এফডিএ। সেখান থেকেও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। তার তৈরি ওষুধও ওই রোগিণীদের খাওয়ার জন্য দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ধৃত শল্যচিকিৎসক আর কে গুপ্ত। তাঁকে ও বিলাসপুরের মুখ্য মেডিক্যাল ও হেলথ অফিসার আর কে ভাঙ্গে-কে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

তদন্তের জন্য এক-সদস্যের বিচারবিভাগীয় কমিশনও তৈরি করেছে রাজ্য। রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অনিতা ঝা। তিন মাসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ জানিয়েছেন, প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে সব রকম চেষ্টা করা হবে। কিন্তু তা বলে কংগ্রেস যে তাঁর ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছে, তা তিনি মানছেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE