Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Vyasarpadi

৪৪ বছর ধরে মাত্র ২ টাকায় রোগী দেখছেন এই চিকিত্সক

১৯৭৩ সালে ডাক্তারি পাশ করেন তিনি। তখন থেকে ২ টাকা নিয়েই রোগী দেখা শুরু করেন তিনি। পরে তা বাড়িয়ে কিছু দিনের জন্য ৫ টাকা করেছিলেন। কিন্তু, এতে অনেক চিকিত্সক আপত্তি তোলেন।

এরুকানচেরির চেম্বারে থিরুভেঙ্গাদাম বীররাঘবন। ছবি: সংগৃহীত।

এরুকানচেরির চেম্বারে থিরুভেঙ্গাদাম বীররাঘবন। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
চেন্নাই শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৭ ১২:২৮
Share: Save:

গরিব মানুষের কাছে তিনি যেন ‘সাক্ষাত্ ঈশ্বরের দূত’। কারণ, কোনও রোগীকেই ফেরান না তিনি। পারিশ্রমিক মাত্র ২ টাকা! সেটাও আবার মাঝে মধ্যেই নেন না।

গত ৪৪ বছর ধরে এ ভাবেই মানুষের সেবা করে চলেছেন এক চিকিত্সক। তিনি চেন্নাইয়ের ব্যাসারপদির বাসিন্দা থিরুভেঙ্গাদাম বীররাঘবন। ১৯৭৩ সালে ডাক্তারি পাশ করেন তিনি। তখন থেকে ২ টাকা নিয়েই রোগী দেখা শুরু করেন তিনি। পরে তা বাড়িয়ে কিছু দিনের জন্য ৫ টাকা করেছিলেন। কিন্তু, এতে অনেক চিকিত্সক আপত্তি তোলেন। তাঁরা বীররাঘবনকে অন্তত ১০০ টাকা ভিজিট নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু সে সব পরামর্শ উপেক্ষা করে তিনি ভিজিট নেওয়াই বন্ধ করে দেন। এর পর থেকে যে যাঁর সাধ্য মতো রোগীরা বীররাঘবনকে তাঁর ভিজিট হিসেবে খাবার-দাবার, ফল-মূল দিয়ে যেতেন। তবে, বেশির ভাগ রোগীই তাঁর কাছে আসেন খালি হাতে।

আরও পড়ুন:
ট্রেনে বিনা টিকিটে এক হাজার যাত্রী! তবু ধরল না চেকার

খাদ্য উৎসবে ‘জাতীয় খাবার’-এর মর্যাদা পেতে চলেছে খিচুড়ি!

এখনও রোজ সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এ ভাবেই রোগী দেখেন ৬৭ বছরের বীররাঘবন। তাঁর এরুকানচেরির চেম্বারের সামনে রোজ লম্বা লাইন পড়ে। ভাবছেন এ ভাবে তাঁর সংসার চলছে কী ভাবে? একটি কর্পোরেট হাসপাতালের অ্যাসোসিয়েট ফেলো হিসেবে নিযুক্ত বীররাঘবন। সেখান থেকে পাওয়া টাকাতেই তাঁর চলে যায়। তা ছাড়া তাঁর স্ত্রী সরস্বতী দেবী রেলের একজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। তাই দু’জনের রোজগারে সংসার ভাল ভাবেই চলে যায়। বীররাঘবন আর সরস্বতীর দুই ছেলেমেয়ে, টি প্রীতি আর টি দীপক মরিশাস থেকে মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন।

ব্যাসারপদী এলাকার দরিদ্র মানুষের জন্য একটি হাসপাতাল গড়তে চান বীররাঘবন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE