শেষ পর্যন্ত জয় হল আন্দোলনকারীদেরই। জনতার দাবি মেনে, মেঘালয়ে ইউরেনিয়াম উত্তোলনের ছাড়পত্র এবং দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলে ইউরেনিয়াম কর্পোরেশনকে দেওয়া জমি ফিরিয়ে নিল রাজ্য সরকার।
২০০৯ সালের ২৪ অগস্ট রাজ্য সরকার ও ইউরেনিয়াম কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি হয়। ৩০ বছরের জন্য ইউসিআইএলকে দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিল জেলায় ৪২২ হেক্টর জমি প্রাক-খনন পর্বের জন্য লিজ দেওয়া হয়। সেই মতো ওই এলাকার পরিকাঠামো বিকাশ শুরু হয়। নোংস্টেইন-রাংব্লাং-ওয়াহকাজি-ডোমিয়াসিয়াট সড়ক এবং মাওথাবা-ওয়াহকাজি-ফালাংডিলোইন-রানিকোর সড়ক নির্মাণের কাজও শুরু হয়। কিন্তু রাজ্যের পরিবেশপ্রেমী সংগঠন, উপজাতি সংগঠন ও ছাত্র সংগঠনগুলি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যৌথমঞ্চ গড়ে আন্দোলন শুরু করে। ইউসিআইএলের দাবি ছিল, সব ধরণের সাবধানতা অবলম্বন করেই খনন চলবে। পরিবেশ রক্ষায় পুরোপুরি গুরুত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু আন্দোলনকারীদের মতে ইউরেনিয়াম উত্তোলনের ফলে তেজষ্ক্রিয়তা ও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশ ও বাসিন্দাদের পুরোপুরি মুক্ত রাখা সম্ভব নয়। সড়ক দু’টি নির্মাণেরও বিরোধিতা করে বলা হয়, ইউরেনিয়াম খননে সুবিধা করা ছাড়া ওই সড়ক কোনও কাজেই আসবে না।
দীর্ঘ আন্দোলনের জেরে গত কাল বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে। সেখানেই ইউরেনিয়াম সংক্রান্ত চুক্তি প্রত্যাহার করা ও লিজ দেওয়া জমি ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মুকুল জানান, রাজ্যবাসীর আপত্তি অগ্রাহ্য করে কোনও কাজ করবে না সরকার। এবার থেকে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মানুষের মতামত নেওয়া হবে। সব দিক বুঝিয়ে বলা হবে। রাজ্যের সিদ্ধান্ত ইউসিআইএলকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
একই সঙ্গে খাসি হিল স্বশাসিত পরিষদও ওই দু’টি সড়ক নতুন করে নির্মাণের জন্য দেওয়া ছাড়পত্র (এনওসি) ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বদলে, ওই সড়ক মেরামতির জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য পি এন সিয়েম বলেন, “আমরা রাজ্যবাসীর তীব্র বিরোধের কথা ইউসিআইএলকে জানিয়ে দিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy