Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Meghalaya Assembly Election 2023

বিজেপির জোট ছেড়ে রাতে মুকুলদের সঙ্গে বৈঠক দুই বিধায়কের, মেঘালয়ে জোট সরকারের চেষ্টায় তৃণমূলও

মেঘালয়ে সরকার গঠন প্রক্রিয়া মসৃণ রইল না। বিজেপির জোট থেকে সমর্থন তুলে নিলেন ২ বিধায়ক। জল্পনা বাড়িয়ে যোগ দিলেন কংগ্রেস-তৃণমূলের বৈঠকে। বিজেপিকে রুখতে পাল্টা জোট গঠনের চেষ্টা।

Meghalaya govt formation drama HSPDP MLAs support, Sangma’s NPP party withdraws later

৫টি করে আসন পাওয়া কংগ্রেস এবং তৃণমূল বিজেপি-এনপিপি জোটকে রুখতে পাল্টা জোট গঠনের চেষ্টা শুরু করল। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
শিলং শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৩ ১২:৫৫
Share: Save:

মেঘালয়ে সরকার গঠনে নতুন সঙ্কট দেখা দিল। ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে সরকার গঠনের সবচেয়ে বড় দাবিদার ছিলেন রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী তথা এনপিপি প্রধান। শুক্রবার নিজের দলের ২৬ জন বিধায়ক, ২ জন বিজেপি বিধায়ক, ২ জন নির্দল বিধায়ক এবং সে রাজ্যের আঞ্চলিক দল এইচএসপিডিপি-র ২ বিধায়কের লিখিত সমর্থন নিয়ে রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের সঙ্গে দেখা করেন কনরাড। প্রথা মোতাবেক মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা আবার সরকার গঠনের আর্জিও জানান তিনি। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকেই দ্রুত বদলাতে থাকে রাজনৈতিক চিত্রপট। ৫টি করে আসন পাওয়া কংগ্রেস এবং তৃণমূল বিজেপি-এনপিপি জোটকে রুখতে পাল্টা জোট গঠনের চেষ্টা করে। সেই জোটে সামিল হয়েছে মেঘালয়ের আর এক ‘শক্তিশালী’ দল ইউডিপি এবং আরও ৩টি আঞ্চলিক দলও।

কনরাড রাজ্যপালকে জানিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে ৩২ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। ‘মেঘের রাজ্যে’ সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৩১টি আসন। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎই সমর্থন তুলে নেওয়ার কথা জানান এইচএসপিডিপি-র ২ জন বিধায়ক। তাঁদের দলের তরফে জানানো হয়, এনপিপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্তকে দল অনুমোদন করে না। এমনকি এইচএসপিডিপি-র সভাপতি এবং সম্পাদক কনরাডকে চিঠি দিয়ে জানান, এনপিপিকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে তাঁরা ‘যুক্ত’ হতে চান না। এই চিঠির একটি প্রতিলিপি পাঠানো হয় রাজ্যপালকেও।

এ দিকে বিজেপি-এনপিপি জোটকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে শুক্রবারই একসঙ্গে বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেস, তৃণমূল, এইচএসপিডিপি, ইউডিপি, পিডিএফ এবং ভিপিপি। এই দলগুলির মিলিত আসনসংখ্যা ২৯। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসনসংখ্যার তুলনায় ২টি আসন কম থাকলেও ২ নির্দল বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের জন্য ঘুঁটি সাজাচ্ছে এই পক্ষও। নতুন জল্পনা তৈরি করে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল নেতা মুকুল সাংমা জানিয়েছেন, বিজেপি জোট থেকে সমর্থন তুলে নেওয়া ২ বিধায়ক তাঁদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এনপিপি অবশ্য মনে করছে এই ‘সাময়িক সঙ্কট’ দ্রুত কাটিয়ে উঠবে তারা। সব কিছু ঠিক থাকলে ৭ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার কথা থাকলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তা পিছোতে পারে বলে জানাচ্ছে এনপিপির একটি সূত্র। কংগ্রেস-তৃণমূল শিবির জোট নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, তাদের দাবি দিনের শেষে সরকার গঠন করবে তারাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE