Advertisement
E-Paper

সরছেন আকবর? বিমানবন্দরে নামতেই পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর দফতরে মেল করেছেন আকবর। যদিও তাঁর ইস্তফা এখনও গৃহীত হয়নি। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গেও এ নিয়ে তাঁর বৈঠকে বসার সম্ভাবনা রয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:১১
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবর।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবর।

দেশের মাটিকে পা রেখেই বুঝতে পারলেন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা #মিটু-র ঝাঁঝ কতখানি! রবিবার সকালে নাইজেরিয়া থেকে দিল্লি পৌঁছন কেন্দ্রী মন্ত্রী এম জে আকবর। বিমানবন্দরে পা রাখা মাত্রই সাংবাদিকরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থা নিয়ে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করতেই তিনি শুধু বলেন, “এ বিষয়ে পরে বিবৃতি দেওয়া হবে।” এর বেশি আর কোনও মন্তব্যই করেননি আকবর।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর দফতরে মেল করেছেন আকবর। যদিও তাঁর ইস্তফা এখনও গৃহীত হয়নি। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গেও এ নিয়ে তাঁর বৈঠকে বসার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত কয়েক দিনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা সাংবাদিক। তাঁদের অভিযোগ, আকবর যখন সম্পাদক ছিলেন সে সময় যৌন হেনস্থা করেছেন। যৌন হেনস্থার আঁচে ফুটছে বলিউডও। সেই আঁচ থেকে বাদ পড়েনি ক্রিকেট জগতও। কিন্তু এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলেছে বিরোধী দলগুলি।

শীর্ষ কংগ্রেস নেতা জয়পাল রেড্ডি সাংবাদিক এ দিন বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন, “মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ব্রেট ক্যাভানাকে যদি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার ব্যাখ্যা করতে হয়, তা হলে আকবর কেন করবেন না? হয় আকবর সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিন, না হয় পদত্যাগ করুন। আমরা আকবরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত চাইছি।”

আরও পড়ুন: #মিটু বিতর্ক: ১ টাকা ক্ষতিপূরণে সম্মান চান অলোক

বিজেপির এক সূত্রের খবর, আকবরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খুব গুরুতর ভাবে দেখছে দল। তবে সব খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আকবরের মন্ত্রিত্ব আদৌ থাকবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘এমন ঘটনা হয়েছিল কি হয়নি?’, অমিতের কথায় #মিটু আগুনে ঘি

তবে মোদী এখন কী সিদ্ধান্ত নেন, সে দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল। আকবরকে সরিয়ে দেওয়া ভুল হবে বলেই মনে করছেন বিজেপির-ই একাংশ। সামনেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন, তার পরে লোকসভা নির্বাচন। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আকবরকে দায়িত্ব থেকে আব্যাহতি দেওয়া মানেই আরও দলের আরও বেকায়দায় পড়া বলেই মনে করছেন তাঁরা।

(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)

MeToo MJ Akbar এম জে আকবর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy