দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে অনুরোধ পাঠাল অমিত শাহের মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ২১৮ ধারার অধীনে সত্যেন্দ্রের শাস্তি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইডি তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ মিলেছে। তার ভিত্তিতেই অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।
বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় নাম জড়িয়েছিল সত্যেন্দ্রের। সেই মামলায় ২০২২ সালের মে মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। ২০১৭ সালে সিবিআই মামলা দায়ের করার পরই বেআইনি আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সেই মামলাতেই সত্যেন্দ্র এবং অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৮ সালে এই মামলায় সিবিআই একটি চার্জশিট দাখিল করে। সেই চার্জশিটে বলা হয়, ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত সত্যেন্দ্রের সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা। যা তার আয়ের থেকে প্রায় ২১৭ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন:
২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে দিল্লি হাই কোর্ট সত্যেন্দ্রের জামিন মঞ্জুর করে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৩০ মে হাওয়ালার মাধ্যমে বেআইনি ভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগে গ্রেফতার হন দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী। জেলবন্দি অবস্থায় কয়েক মাস থাকার পরে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। জেলে যাওয়া ইস্তক নিজেকে ‘অসুস্থ’ বলে দাবি করেছেন সত্যেন্দ্র। কয়েক মাস আগে জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, তিনি একাকিত্বে ভুগছেন। মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরেছে তাঁকে। একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয় তাঁকে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আবার সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন সত্যেন্দ্র। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। যদিও বিজেপি প্রার্থীর কাছে প্রায় ২১ হাজার ভোটে হারতে হয় তাঁকে।