Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Narendra Singh Tomar

কৃষি আইনে ভুল আসলে কোথায়, বলতে পারেননি কেউই, সংসদে মন্তব্য কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর

কৃষি আইন নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে একটি মাত্র রাজ্য। তার কারণ, সেই রাজ্যের শাসক কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছেন।

নরেন্দ্র সিং তোমর

নরেন্দ্র সিং তোমর

সংবাদসংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:৩১
Share: Save:

কৃষি আইনে ‘সমস্যা কোথায়’সেটাই বলতে পারেননি কেউ! শুক্রবার দাবি করলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। তাঁর মতে কৃষি আইন নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে একটি মাত্র রাজ্য। তার কারণ, সেই রাজ্যের শাসক কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছেন। উসকানি দিচ্ছেন।
শুক্রবার সংসদে কৃষক আন্দোলন নিয়ে বক্তব্য রাখতে উঠে এই মন্তব্য করেছেন তোমর। ‘একটি মাত্র রাজ্য’ বলে তিনি যে আদতে পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারকেই কটাক্ষ করেছেন, তা বোঝাই যাচ্ছিল। তবে তোমর আরও স্পষ্ট করে বললেন, ‘‘এতদিন জানতাম চাষবাস করতে জল লাগে। এখন বুঝছি একমাত্র কংগ্রেসই পারে রক্ত দিয়ে কৃষিকাজ করতে।’’
শুক্রবার ছিল কৃষক আন্দোলনের ৭২তম দিন। সেদিনই সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় তোমর বলেন, ‘‘যাঁরা কৃষি আইন নিয়ে প্রতিবাদ করছেন, তাঁরা বলতেই পারেননি এই আইনে ভুলটা আসলে কোথায়!’’তোমরের দাবি, ‘‘সরকার গোঁ ধরেবসে নেই। বরং কেন্দ্র বারবার জানতে চেয়েছে, এই আইনের খারাপ দিক কোনটা? কী নিয়ে এত প্রতিবাদ? কিন্তু, কেউই জবাব দিতে এগিয়ে আসেননি।’’
কৃষকদের আটকাতে দিন কয়েক আগেই গাজিপুর আর সিঙ্ঘু সীমান্তে রাস্তায় গজাল-পেরেক পুঁতেছিল কেন্দ্র। কাঁটাতার এবং ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল। কৃষকরা যেখানে আন্দোলন করছেন, সেই এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট। বন্ধ করা হয়েছে জলের পরিষেবাও। শুক্রবার কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শিরোমণি অকালি দলের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল-সহ দেশের অন্য বিরোধী দলের ১০ জন প্রতিনিধি।কেন্দ্র তাঁদের কৃষকদের শিবিরে পৌঁছতেই দেয়নি।শুক্রবার সংসদে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। তার পরই তোমরের এই ভাষণ।
বক্তৃতায় তোমর বলেন, ‘‘কৃষি আইন নিয়ে গোটা দেশের কৃষক বিক্ষুব্ধ বলে যে দাবি বিরোধীরা করছেন, তা ঠিক নয়। কৃষি আইন নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মূলত একটিই রাজ্য।কারণ সে রাজ্যের শাসক তাঁদের ভুল বোঝাচ্ছে। কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে তাঁদের ভুল বোঝানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তোমর।
প্রসঙ্গত কৃষকদের দাবি, নতুন কৃষি আইনের অনেক ত্রুটির মধ্যে একটাহল এই আইন তাদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত করবে। বেশি পুঁজি হাতে নিয়ে আসা সংস্থাগুলি তাদের ক্ষমতার জোরে কৃষকদের থেকে কম মূল্যে বেশি সুবিধা নেবে। এযাবৎ কৃষকের সঙ্গে সরকারের ১১ দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সমাধান সূত্র পায়নি কোনও পক্ষই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE