জনগণনার পরে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাসের সময় দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির উদ্বেগের বিষয়টি খেয়াল রাখা হবে এবং সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই যথা সময়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
আজ মোদী সরকার ২০২৭-এ জনগণনার ঘোষণার পরেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন অভিযোগ তুলেছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী এই জনগণনার পরেই লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস হবে। সেখানে বিজেপি তামিলনাড়ু থেকে লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব কমিয়ে দেওয়ার ছক কষছে।
জনগণনার পরে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস হলে দক্ষিণ ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের মতো যে সব রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম, সেই সব রাজ্যের লোকসভার প্রতিনিধিত্ব কমে যাবে বলে আগেও প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমেরও অভিযোগ, ২০২৬-এর পরের জনগণনা অনুযায়ী লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস হবে। সেই কারণেই ২০২৭-এ জনগণনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তামিলনাড়ু ও অন্য একাধিক রাজ্যের লোকসভায় আসন কমে যাবে। যাতে বিজেপি যেখানে দুর্বল, সেই দক্ষিণ ভারতের লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব কমিয়ে উত্তর ভারতের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো যায়। এখনও অনেকে এই বিপদ বুঝতে পারছেন না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুক্তি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই স্পষ্ট করেছেন, আসন পুনর্বিন্যাসের সময় দক্ষিণ ভারতের উদ্বেগ মাথায় রাখা হবে। ২০২১-এ জনগণনার প্রস্তুতি হলেও কোভিডের কারণে পিছিয়ে যায়। কোভিডে শিক্ষাতেও ধাক্কা লেগেছিল। জনগণনায় ৩০ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষকদের দরকার। কোভিডের পরেই এত প্রাথমিক শিক্ষককে জনগণনার কাজে লাগালে প্রাথমিক শিক্ষায় ফের ক্ষতিগ্রস্ত হত।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)