উচ্চশিক্ষা, চাকুরির পরীক্ষার প্রস্তুতির লক্ষ্যে প্রায় ২৫-৩০ লক্ষ পড়ুয়া দিল্লিতে থাকলেও, তাঁদের সম্পর্কে কোনও তথ্যভান্ডার নেই দিল্লি পুলিশের কাছে। অবিলম্বে সেই সংক্রান্ত তথ্যভান্ডার গড়ার জন্য কেন্দ্রকে পরামর্শ দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
গত জুলাই মাসে দিল্লির রাজেন্দ্রনগর এলাকার একটি কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে জল ঢুকে মারা যান তিন পড়ুয়া। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির অনুদান সংক্রান্ত যে রিপোর্ট সংসদে জমা পড়েছে, তাতে বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষা এবং মূলত সরকারি চাকরি পাওয়ার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ নিতে প্রায় ২৫-৩০ লক্ষ ভিন্ রাজ্যের পড়ুয়া দিল্লিতে বসবাস করেন। কিন্তু তাঁরা কোথায় পড়েন, কোথায় থাকেন, সে বিষয়ে কোনও তথ্য নেই
পুলিশের কাছে।
কমিটির পর্যবেক্ষণ, এ ধাঁচের যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি দিল্লিতে চলছে, পড়ুয়াদের থাকার জন্য যে হস্টেল বা ছাত্রাবাস রয়েছে সেগুলির অধিকাংশই নিয়ম মানে না। কমিটি তাই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রাবাসের তালিকা তৈরি, সেগুলির নিয়মিত শংসাপত্র খতিয়ে দেখায়
জোর দিয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে ১,৬০,৩৯১.০৬ কোটি টাকা খরচের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। আগের চেয়ে প্রায় ১২.৯৪ শতাংশ কম। তার প্রভাব পড়েছে আধা সামরিক বাহিনীর ব্যয় বরাদ্দে। বাজেট কমেছে ইনটেলিজেন্স ব্যুরো, ন্যাটগ্রিডের মতো গোয়েন্দা শাখাতেও। আধা সামরিক বাহিনীর পরিকাঠামো নির্মাণ ক্ষেত্রেও বরাদ্দ কমেছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)