প্রতারকের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে কোটি টাকা খুইয়েছিল খাস কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতাল। এ বার তামিলনাড়ু থেকে সেই প্রতারককে ধরল বিধাননগর থানার পুলিশ। চেন্নাই থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে বিধাননগর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে খোয়া যাওয়া টাকার কিছু অংশও।
চলতি মাসের শুরুতে বাগুইআটির ওই বেসরকারি হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট অতনু মুখোপাধ্যায়ের কাছে হোয়াট্সঅ্যাপে একটি অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ আসে। প্রেরকের স্থানে সংস্থারই ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রশান্ত শর্মার ছবি ছিল। মেসেজে ভুয়ো ‘প্রশান্ত’ জানান, তাঁর পুরনো নম্বরটি তিনি আর ব্যবহার করছেন না। এখন থেকে সংস্থার যাবতীয় কাজের জন্য এই নতুন নম্বরটিই ব্যবহার করবেন তিনি। সে কথা বিশ্বাসও করে নেন অতনু। পর দিন তিনি ‘প্রশান্ত’র থেকে আরও একটি মেসেজ পান। সেখানে সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা একটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয় অতনুকে। খোদ ডিরেক্টরের নির্দেশ ভেবে সে কথা মেনে নেন অতনু। পরে বুঝতে পারেন, প্রতারিত হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
এর পরেই বাগুইআটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। তদন্তে নেমে অপরাধে ব্যবহৃত অ্যাকাউন্টটি শনাক্ত করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। তামিলনাড়ুর চেন্নাই থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম সিকন্দর বাছা। তাঁকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ধৃতকে আদালতে হাজির করিয়ে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, খোয়া যাওয়া টাকার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩০ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে। বাকি টাকারও খোঁজ চলছে।