কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। — ফাইল চিত্র।
দেড় দশকের সংসদীয় কর্মজীবনে এই প্রথম বার লোকসভার ওয়েলে নেমে পোস্টার হাতে স্লোগান দেখা দিতে গেল তাঁকে। স্পিকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ায় প্রথম বার সাসপেন্ডও হলেন কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার আগে তাঁর এই আচরণের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তারুর।
এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে তারুর লিখেছেন, ‘‘আমার ১৫ বছরের সংসদীয় কর্মজীবনে এই প্রথম বার অন্যদের সঙ্গে আমিও সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবিতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ওয়েলে নেমেছি। আমার দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের যে সহকর্মীরা এ বিষয়ে সরকারের কাছে জবাব চেয়ে অন্যায় ভাবে সাসপেন্ড হয়েছেন, তাঁদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছি। আশা করছি অন্যায্য ভাবে আমাকেও সাসপেন্ড করা হবে। তা আমার কাছে গর্বের হবে।’’
প্রসঙ্গত, গত বুধবার লোকসভায় রংবোমা হানার ঘটনার পর থেকেই সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অধিবেশনে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির দাবিতে ওয়েলে নেমে স্লোগান তুলছেন তাঁরা। আর তার পর থেকে চলছে ধারাবাহিক সাসপেনশনের পালা। গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ সামাল দিতে না-পেরে রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড় শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করেন তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। লোকসভায় সাসপেন্ড করা হয় ১৪ বিরোধী সাংসদকে। পরে দেখা যায় তাঁদের মধ্যে এক জন সভাতে হাজির না থাকা সত্ত্বেও শাস্তির কবলে পড়েছেন!
এর পর শুক্রবারও বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদের জেরে সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গিয়েছিল দুই কক্ষের অধিবেশন। সোমবার দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট ৭৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। মঙ্গলবার আবার প্রায় ৫০ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রত্যেকেই বিরোধী শিবিরের সাংসদ। এই ঘটনাকে বিরোধী নেতৃত্ব বলেছেন ‘গণতন্ত্রের সাসপেনশন’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy