প্রতীকী ছবি।
অবশেষে প্রায় দেড় মাস পর নিখোঁজ গাড়ি-চালক জীবন দেবনাথের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। আজ সকালে পশ্চিম ত্রিপুরার রাধাপুর থানার সুখিয়াকোবরা পাড়া থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়।
গত ২০ সেপ্টেম্বর এক সাংবাদিক ও তাঁর সঙ্গীকে নিয়ে গাড়িচালক জীবনবাবু পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার বিভিন্ন উপজাতি এলাকায় যান। খুমলুঙে সেদিনই সিপিএম ও উপজাতি সংগঠন আইপিএফটির সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিক খুন হন। ঠিক সেদিনই ওই এলাকায় জীবনবাবুর গাড়িটি উন্মত্ত জনতা পুড়িয়ে দেয়। সাংবাদিক ও তার সঙ্গী কোনও মতে আগরতলায় ফিরে এলেও জীবনবাবু নিখোঁজ হন। রাজ্য সরকার জীবনবাবুকে খুঁজে বের করতে একটি বিশেষ তদন্ত দল (সিট) গঠন করে। জেলার এসপি অভিজিৎ সপ্তর্ষি জানান, ‘‘আজ সকালে সুখিয়াকোবরায় মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দি দেহটি উদ্ধার করা হয়।’’
এসপি বলেন, তদন্তে নেমে পুলিশ বলেন্দ্র দেববর্মা এবং সুরেন দেববর্মা নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করেই দেহটির খোঁজ মেলে। এসপি বলেন, ‘‘জেরায় জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রাতেই জীবন দেবনাথকে মেরে মাটির নিচে পুঁতে দেওয়া হয়।’’ জীবনবাবুর বাবা মনোরঞ্জন দেবনাথ পচা-গলা দেহটির প্যান্ট এবং শার্ট দেখে নিজের ছেলেকে শনাক্ত করেছেন।
এই ঘটনার নিন্দা করেছে শাসক সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। সিপিএম এক বিবৃতি জারি করে বলেছে, উগ্রবাদী সংগঠন আইপিএফটি-র সদস্যরাই এই খুন করেছে। উল্লেখ্য, এর আগে সিপিএমের পক্ষ থেকে আইপিএফটি-কে উস্কানি দেওয়ার জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে আঙুল তোলা হয়েছে। বিবৃতিতে বিজেপির নামোল্লেখ না করলেও সিপিএমের তরফে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy