সুপারির ব্যবসা করতে এসে গণ ধর্ষণের শিকার হলেন এক মিজো তরুণী। গাড়ির ভিতরেই মিজোরামের কলাশিবের বাসিন্দা তরুণীকে ধর্যণ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ধর্ষিতার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জে সুপারির ব্যবসা প্রসিদ্ধ। ফলে প্রতিবেশি রাজ্য মিজোরাম, মণিপুর থেকেও অনেক লোক এখানে ব্যবসার খাতিরে আসেন। মিজোরামের কলাশিব জেলার ২১ বছরের তরুণীকে নিয়ে ২৭ বছরের এক মহিলা করিমগঞ্জে আসেন সুপারির ব্যবসা করতে। আছিমগঞ্জের জনৈক আলির সঙ্গে তাদের পরিচয় থাকায় মিজোরামের মহিলারা সেখানে যান। গত সোমবার ভাঙ্গা এলাকায় সুপারির বাজার দেখতে আসেন তাঁরা। সেই সময় মাইকেল নামের জনৈক যুবক মিজো মহিলার সঙ্গে মিজো ভাষায় কথা বলে।
বাঙালি অধ্যুষিত ভাঙ্গা এলাকায় মিজো কথা বলতে পারা লোককে দেখে খানিকটা আপ্লুত হন মিজো মহিলা। মাইকেল জানায়, তার সঙ্গে গাড়ি রয়েছে। সে তাঁদের আছিমগঞ্জে পৌঁছে দেবে। মহিলা গাড়ির সামনের আসনে বসেন। পিছনের আসনে ওই তরুণীর সঙ্গে মাইকেলের দুই বন্ধু, সিপার আহমদ এবং আলা নামের অপর এক যুবক বসে। গাড়িটি দোহালিয়ার জঙ্গল পথ দিয়ে যাওয়ার সময় কাচ বন্ধ করে উচ্চস্বরে গান চালিয়ে দেয় মাইকেল। ফলে আশপাশের কোনও লোক কিছুই বুঝতে পারেননি। মহিলার হাত-পা-মুখ বেঁধে সিপার এবং মাইকেল পর্যায়ক্রমে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় মাইকেল। এর পর ৯৫০ টাকার ওষুধ কিনে দিয়ে পালিয়ে যায় সিপার, আলা এবং মাইকেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy