রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজনের বিদায় সুনিশ্চিত করে এ বারে নতুন মিশনে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তা হল, বিভিন্ন মন্ত্রকে ছড়িয়ে থাকা ২৭ জন আমলার মুখোশ খোলা। স্বামী আজ টুইটারে অভিযোগ করেছেন, এঁরা সনিয়া গাঁধীর ‘অনুগত’ এবং পি চিদম্বরম তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে গিয়েছেন। এই ২৭ জন আমলা কে, তা অবশ্য খোলসা করেননি তিনি। বিরোধী শিবিরের অনেকেই মনে করছেন, রাজনের বিদায় নিশ্চিত করে রক্তের স্বাদ পেয়েছেন স্বামী।
ইউপিএ আমলে নিয়োগ হওয়া রাজনের কাজকর্ম ও সিদ্ধান্ত নিয়ে মোদী সরকারের একাংশে উষ্মা ছিলই। দ্বিতীয় বার তাঁকে নিয়োগ করা নিয়েও সংশয় ছিল। তবু শিল্পমহল তাঁর পাশে থাকায় প্রকাশ্যে রাজনের সঙ্গে মধুর সম্পর্কই বজায় রেখে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বরং রাজনকে নিয়ে স্বামীর মন্তব্যের সমালোচনাই করেছেন জেটলি, বেঙ্কাইয়া নায়ডুরা। যদিও দলের নেতৃত্বের একটি অংশ এবং সঙ্ঘ নেতৃত্ব স্বামীকে পুরোদস্তুর সমর্থন করছেন। যে কারণে স্বামীকে প্রকাশ্য মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেননি কেউই। অতীতে সাক্ষী মহারাজ, গিরিরাজ সিংহদের বেলায় যেটা দেখা গিয়েছে।
সঙ্ঘের এক সূত্রের মতে, স্বামী যা বলছেন, সেটি বিজেপি নেতৃত্বেরও মত। কিন্তু অমিত শাহ তা দলের অবস্থান হিসেবে ঘোষণা করছেন না। স্বামীর মতো কাউকে দিয়েই কার্যসিদ্ধি হলে দলের কোনও লোকসানও নেই। খোদ নরেন্দ্র মোদীও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বারবার বলেছেন, সর্ষের মধ্যে ভূত রয়েছে। এখনও দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন আমলা প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে বাঁচাতে সচেষ্ট। অনেক স্পর্শকাতর মামলায় ফাইল লোপাট হচ্ছে। সরকার এ সব জানে। মোদী-অমিতরা যখন ‘কংগ্রেস-মুক্ত’ ভারত গড়ার কথা বলেন, তখন সরকারিতন্ত্র থেকেও এই কাঁটাও দূর করতে হবে। সুব্রহ্মণ্যম স্বামী যা করছেন, সেটি সরকার ও দলেরই পরিপূরক হয়ে। জাতীয় স্বার্থ মাথায় রেখেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy