রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রায়ই বলে থাকেন, ‘পুডিং-এর স্বাদ একমাত্র খাওয়ার সময়েই বোঝা যায়!’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের প্রশ্নে সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বও এই আপ্তবাক্যটিই স্মরণ করছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপের পর আর দেরি না করে খুব শীঘ্রই নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফর নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ৫ রাজ্যে ভোট মিটলেই দিনক্ষণ স্থির হবে। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের মাঝামাঝিই ওয়াশিংটন যেতে পারেন মোদী। বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার মতে, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব ট্রাম্পের সঙ্গে এক টেবিলে বসে ভারতের আশঙ্কার বিষয়গুলি তুলে ধরা দরকার। কারণ বিভিন্ন রাষ্ট্র এই সময়ে পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাইবে।’’
ভোটের প্রচারে ট্রাম্প পাক মদতপ্রাপ্ত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, শপথের দিনও বলেছেন ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। তবে এর আগে ওবামা সরকার তালিবান-বিরোধী মনোভাব নিলেও পাক মাটিতে তালিবান জঙ্গিদের ঘাঁটি ধ্বংসের প্রশ্নে এক পা-ও এগোয়নি। পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার প্রতিরক্ষা সম্পর্কেও বড় কোনও চিড় ধরেনি। দিল্লি তাই সতর্ক। ট্রাম্পকে বোঝানোর চেষ্টা হবে যে আফ-পাক অঞ্চলটি একটি সন্ত্রাসের কারখানা। যা গোটা এলাকার বিপদ।
ভারতীয়দের এইচওয়ান-বি ভিসা যাতে বাতিল না হয়, সে দেশে ভারতীয় পেশাদারদের ভবিষ্যৎ যাতে বিপন্ন না হয় বা ভারতে আউটসোর্স করা সংস্থার উপরে যাতে নিষেধাজ্ঞা জারি না হয়, এ ব্যাপারেও আশ্বাস চান মোদী। এর জন্য কূটনৈতিক চেষ্টা এখনই শুরু করে দিতে চায় দিল্লি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy