কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।
দেশের পরে বিদেশ। দুর্নীতি দমনে তাঁর সরকারের সাফল্যের কথা এ বার কাতারে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে ‘সুযোগের দেশ’ ভারতে লগ্নি করতে সে দেশের শিল্পপতিদের ডাক দিলেন তিনি।
পাঁচ দেশের সফর শুরু হয়েছিল আফগানিস্তান দিয়ে। গত কাল রাতেই দোহার মাটি ছোঁয় প্রধানমন্ত্রীর বিমান। সেখানে অনাবাসী ভারতীয়দের এক সভায় তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতে ‘লাভের গুড়’ খাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছে তাঁর সরকার। মোদীর কথায়, ‘‘প্রথম দিকে আমারও সমস্যা হত। কিন্তু ১২৫ কোটি মানুষের কাছ থেকে আমি তা সমাধানের শক্তি পেয়েছি। ভাবতে পারেন সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি রুখে আমরা প্রতি বছর ৩৬ হাজার কোটি টাকা করে বাঁচাতে পারছি।’’ সম্প্রতি দিল্লিতে সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানেও ঠিক এই ভাষাতেই সরকারের সাফল্যের কথা প্রচার করেছিলেন তিনি।
শিল্পপতিদের ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়ে মোদী বললেন, ‘‘ভারত হল সুযোগের দেশ। সেই সুযোগকে আপনারা যাতে কাজে লাগাতে পারেন, তাই আমি এসেছি আপনাদের আমন্ত্রণ জানাতে।’’ সঙ্গে প্রতিশ্রুতি, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা হলে তা তিনি নিজে মেটানোর চেষ্টা করবেন।
শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গেও আজ দেখা করেন মোদী। দোহার আমিরি দিওয়ানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আজ একটি বিশেষ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। কাতার-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্ক যাতে আরও দৃঢ় হয়, তার জন্য দু’দেশের মধ্যে আজ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চুক্তি সই হয়েছে। হয়েছে সন্ত্রাস ও বেআইনি আর্থিক লেনদেন নিয়ে তথ্য আদানপ্রদানের সমঝোতাও।
দেশের যুব সম্প্রদায়ই যে ভারতের মূল শক্তি, এ দিন ফের সে কথা স্পষ্ট জানিয়েছেন মোদী। বলেছেন, ‘‘আশি কোটির যুব সম্প্রদায়ই আমার মূল শক্তি। সেই সঙ্গেই পরিকাঠামো সম্প্রসারণ, উন্নয়ন এবং উৎপাদনে জোর দিচ্ছি আমরা।’’
কাতার পৌঁছনোর আগে অবশ্য মোদীর মুকুটে যোগ হয়েছে অন্য এক পালক। কালই নরেন্দ্র মোদীর হাতে ‘আমির আমানুল্লা খান’ পুরস্কার তুলে দেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি। উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে দাদরি নিয়ে উত্তাপ যখন বাড়ছে, ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রীকে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দেওয়া বিষয়টিকে সামনে রেখে বিজেপি সংখ্যালঘুদের বার্তা দেওয়ার পথে নেমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy