‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী পর্যায়ে উপকূলের নিরাপত্তায় বিশেষ ভাবে নজর দিতে সক্রিয় হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এরই অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে সমুদ্রে নজরদারি বাড়িতে বিশেষ রেডার পাচ্ছে নৌসেনা। নজরদারি বিমান ডর্নিয়ার ডিও-২২৮ বিমানে বসানো হবে এইএসএ (অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিকলি স্ক্যানড অ্যারে) নামের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ওই রেডার।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হ্যাল’ (হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড) এই প্রকল্পের জন্য হরিয়ানার গুরুগ্রাম-ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘লোটাস অ্যাডভান্সড টেকনোলজিসে’র সঙ্গে ৬৪০ কোটি টাকার চুক্তি করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওই সূত্র জানাচ্ছে, ডর্নিয়ার ডিও-২২৮ নজরদারি বিমানে এইএসএ বসানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে ইজ়রায়েলি সংস্থা ‘আইএআই এল্টা সিস্টেমস লিমিটেড’।
আরও পড়ুন:
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর ভাঁড়ারে অন্তত ২০০টি বিভিন্ন শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ মজুত করার লক্ষ্য নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। নতুন যুদ্ধজাহাজগুলির বড় অংশই কোচি, মুম্বই, কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন ডক ইয়ার্ডে তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে কলকাতার গার্ডেনরিচ, মুম্বইয়ের মাজগাঁওয়ের মতো জাহাজ নির্মাণ কারখানাগুলিতে ৫৫টি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণাধীন। এই কর্মসূচির আনুমানিক ব্যয় প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা। এ ছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগান অনুসরণ করে ৭৪টি দেশীয় প্রযুক্তিতে নতুন যুদ্ধজাহাজ এবং ডুবোজাহাজ নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর জন্য আনুমানিক খরচ হবে আরও ২ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এই তালিকায় রয়েছে ন’টি ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন, চারটি ১০ হাজার টনের পরবর্তী প্রজন্মের ডেস্ট্রয়ার এবং সাতটি পরবর্তী প্রজন্মের মাল্টি-রোল স্টেলথ্ ফ্রিগেট। পাশাপাশি, নৌসেনার জন্য অত্যাধুনিক নজরদারি সরঞ্জাম ও যুদ্ধবিমান আনার উদ্যোগও শুরু হয়েছে।