Advertisement
২৩ জানুয়ারি ২০২৫
National News

মায়াবতীর বিরুদ্ধে কুকথার ক্ষত মোদীর উন্নয়নের মলমেও ঢাকছে না

উন্নয়নের প্রলেপ দিয়ে দলিত দুর্গে ক্ষত মেরামতের চেষ্টায় নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর দলিত বিতর্ক টাটকা থাকতেই দলের ত্রিশ জন বড় নেতাকে কাল থেকে উত্তরপ্রদেশে নামাচ্ছেন সনিয়া ও রাহুল গাঁধী।

গোরক্ষপুরে সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি:পিটিআই।

গোরক্ষপুরে সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি:পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৬ ২১:১৬
Share: Save:

উন্নয়নের প্রলেপ দিয়ে দলিত দুর্গে ক্ষত মেরামতের চেষ্টায় নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর দলিত বিতর্ক টাটকা থাকতেই দলের ত্রিশ জন বড় নেতাকে কাল থেকে উত্তরপ্রদেশে নামাচ্ছেন সনিয়া ও রাহুল গাঁধী।

হিন্দু ভোটকে ভাগাভাগি করতে না দিয়ে দলিত ও উচ্চবর্ণকে এক ঝুলিতে পোরার অমিত শাহের কৌশলে জল ঢেলে দিয়েছেন তাঁর দলেরই এক নেতা। দলিত নেত্রী মায়াবতীর বিরুদ্ধে কুকথা বলে। যার ফলে উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে গোরক্ষপুরে প্রধানমন্ত্রীর পূর্বনির্ধারিত সভাটি আজ আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। যে কারণে আজ সারাক্ষণ উন্নয়ন-উন্নয়ন করেও নরেন্দ্র মোদীকে শেষ পর্যন্ত বলতে হল, ‘‘জাতিবাদের রাজনীতি ঢের হয়েছে। জাতিবাদের বিষ কারও ভাল করে না। উন্নয়নবাদের রাজনীতিই সকলের ভাল করবে।’’

প্রধানমন্ত্রী করবেন উন্নয়ন আর অমিত শাহ নরম হিন্দুত্ব। এই দ্বিমুখী কৌশল নিয়েই উত্তরপ্রদেশের ঘুঁটি সাজিয়েছে মোদী-শাহ জুটি। কিন্তু মায়াবতীর প্রতি বিজেপি নেতা দয়াশঙ্কর সিংহের অপশব্দের ধাক্কায় এখন সেই হিন্দু ভোটে ফাটল ধরার আশঙ্কা দেখা গিয়েছে। মায়াবতীও ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ পেয়ে গিয়েছেন। এই অবস্থায় হাল ধরতে হল মোদীকেও। তাঁর মুখে উন্নয়নের বুলি নতুন নয়। কিন্তু গোরক্ষপুরে গিয়ে সেখানকার ২৬ বছর আগের বন্ধ সার কারখানার শিলান্যাস, এইমস, রেল-সড়ক যোগাযোগের কথা বলে উন্নয়নের মোড়কেই মোদীকে ঢাকার চেষ্টা করতে হল দলিত দুর্গের চিড়কে। দলের বিপদের সময় টেনে আনতে হল জাতিবাদের প্রসঙ্গও।

আরও পড়ুন: দলিত দুর্গে ঝড়, ঠেকাতে মরিয়া মোদী

দলের এক নেতার কথায়: ‘‘একসময় ওয়াই এস আর রেড্ডি যে ভাবে রোড শো-র মাধ্যমে অন্ধ্রপ্রদেশ দখল করেছিলেন, এ বারে উত্তরপ্রদেশে হারানো জমি ফিরে পেতে একই পথ ধরছে দল। ভোটের আগে যাতে রাজ্যের সব কোণে পৌঁছে যেতে পারেন কংগ্রেস নেতারা। দলীয় নেতার সাম্প্রতিক অপশব্দের পরে বিজেপি এখন হিমশিম খাচ্ছে। ঘুরে দাঁড়াতে চাইছেন মায়াবতী। এটাই মোক্ষম সময় উত্তরপ্রদেশের জমি দখলের। আর অখিলেশ সরকারের ব্যর্থতাও তুলে ধরা হবে প্রচারে।’’

বিজেপির এক শীর্ষনেতা আজ বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিপক্ষরা সর্বশক্তি দিয়ে আসরে নামবে, এর মধ্যে অস্বাভাবিকতার কিছু নেই। কংগ্রেস এর পরে প্রিয়ঙ্কাকেও ব্যবহার করবে, তার জন্যও দল প্রস্তুত। কিন্তু সাজানো বাগানে যে ভাবে দলেরই এক নেতা চোনা ফেলে দিলেন, সেই আত্মঘাতী হামলা নিয়েই আশঙ্কা আরও বেশি। সেটি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের স্লোগান দিয়ে মিটবার নয়। মাঠে-ময়দানে তাঁর পাল্টা রণনীতি তৈরি করতে হবে। দল থেকে দয়াশঙ্করকে বের করে দিলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ অবশ্য থামায়নি বিজেপি। গতকাল মায়াবতীর দলের নেতারা যে প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন, সেখানে দয়াশঙ্করের স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধেও অপশব্দ ব্যবহার করা হয়। তার প্রতিবাদে দয়াশঙ্করের স্ত্রী পাল্টা এফআইআর করেছেন মায়াবতী ও তাঁর দলের নেতাদের বিরুদ্ধে।

অন্য বিষয়গুলি:

Uttarpradesh Gorakhpur NarendraModi Mayabati
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy