E-Paper

নজরদারিতেই শূন্যপদ, নিরুত্তাপ কেন্দ্র

আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পরে কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রক উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়ে বিমান চলাচলের সুরক্ষায় ফাঁকফোকর খুঁজে নিরাপত্তা বাড়াতে চাইছে। যাতে ভবিষ্যতে বিমান দুর্ঘটনা না ঘটে।

প্রেমাংশু চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৫ ০৭:৩৫
ক্ষতিগ্রস্ত বিমান।

ক্ষতিগ্রস্ত বিমান। —ফাইল চিত্র।

বিমান চলাচলের সুরক্ষা সংক্রান্ত বিধি মানা হচ্ছে কি না, তাতে নজরদারি করার দায়িত্ব যে সংস্থার, সেই ডিজিসিএ-তে (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন) অর্ধেকের বেশি পদ খালি। বিমান চলাচলের নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্ব যে সংস্থার কাঁধে, সেই বিসিএএস-এ এক-তৃতীয়াংশের বেশি পদ খালি। বিমানবন্দরের পরিকাঠামো সামলানো ও বিমান পরিষেবার ভারপ্রাপ্ত এয়ারপোর্ট অথরিটিতেও তিন হাজারের বেশি পদ খালি রয়েছে।

আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পরে কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রক উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়ে বিমান চলাচলের সুরক্ষায় ফাঁকফোকর খুঁজে নিরাপত্তা বাড়াতে চাইছে। যাতে ভবিষ্যতে বিমান দুর্ঘটনা না ঘটে। অথচ এখন বিমান চলাচলের সুরক্ষা দেখভালের দায়িত্ব যে সব সংস্থার কাঁধে, সেখানেই হাজার হাজার পদ খালি পড়ে রয়েছে।

বিরোধীদের অভিযোগ নয়। সংসদের পরিবহণ, পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটিই আড়াই মাস আগে বিমান মন্ত্রকের আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে রিপোর্টে এই তথ্য তুলে ধরেছিল। সেই সঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, ‘গুরুতর কর্মীর অভাবের ফলে বিমান চলাচলের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও পরিষেবায় সমস্যা তৈরি হতে পারে।’ কোনও বিরোধী দলনেতা নন, এই সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাথা এনডিএ-র শরিক দল জেডিইউ-র শীর্ষনেতা সঞ্জয় কুমার ঝা। কমিটিকে বিমান মন্ত্রকই লিখিত ভাবে এই সব তথ্য জানিয়েছিল। তারপর সংসদীয় স্থায়ী কমিটি রিপোর্টে জানিয়েছিল, কমিটি গভীর উদ্বিগ্ন। বিমান যাত্রার সংখ্যা বাড়ছে। অথচ এই সব সংস্থায় কর্মীর অভাবের ফলে বিমান চলাচলের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে। সুরক্ষায় নজরদারি, নিরাপত্তা ও বিমানবন্দরের কাজকর্মে যাতে আপস করতে না হয়, তার জন্য দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে কর্মী নিয়োগের সুপারিশকরে কমিটি।

এই সব সংস্থাগুলির জন্য অর্থ বরাদ্দ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির মত ছিল, চলতি অর্থ বছরে এই সংস্থাগুলির জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে, তার প্রায় অর্ধেক অর্থ—৩০ কোটি টাকার মতোই পেয়েছে ডিজিসিএ। সেই তুলনায় বিসিএএস (ব্যুরো অব সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিয়োরিটি), এএইবি (এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো)-র জন্য বরাদ্দ যথেষ্ট নয়। এএইবি সংস্থাই আন্তর্জাতিক প্রোটোকল ও দেশের নিয়ম অনুযায়ী আমদাবাদের দুর্ঘটনার তদন্ত করছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ahmedabad Plane Crash plane accident Directorate General of Civil Aviation (DGCA) dgca

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy