Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Crime News

‘দুই সন্তানকে আমিই গলা টিপে মেরে ফেলেছি’! মাঝরাতে পুলিশকে ফোন মহিলার

অন্ধ্রপ্রদেশের এক মহিলা মাঝরাতে পুলিশকে ফোন করে জানান, তিনি তাঁর দুই সন্তানকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করেছেন। মহিলা নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।

Mother kills children by suffocating them and surrenders to police

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২৬
Share: Save:

নিজের পুত্র এবং কন্যাকে গলা টিপে খুন করলেন মহিলা। মাঝরাতে নিজেই ফোন করলেন পুলিশকে। স্বীকার করে নিলেন খুনের কথা। পুলিশ গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে বালক এবং বালিকার দেহ।

ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের। ধৃত মহিলার নাম গঙ্গাদেবী। তিনি একটি বেসরকারি মার্কেটিং সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ, তিনি তাঁর সাত বছর বয়সি পুত্র এবং ন’বছর বয়সি কন্যাকে খুন করেছেন। রাত ১টা নাগাদ স্থানীয় থানায় ফোন করে সে কথা নিজেই জানান মহিলা। পুলিশকে তিনি এ-ও জানান, সন্তানদের খুন করার পর তিনি নিজেও আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা করতে পারেননি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকতেন ওই মহিলা। এর আগে তিনি তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সন্তানদের হেনস্থার অভিযোগে মহিলার স্বামী আগেই গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি পকসো মামলায় জেল খাটছেন।

ঠিক কী কারণে সন্তানদের খুন করলেন ওই মহিলা, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে। তবে প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, মহিলা দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাতে পারছিলেন না। জোগাতে পারছিলেন না খাবার। তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে তিনি সঙ্কটে ছিলেন। সেই কারণেই এই চরম পদক্ষেপ করে থাকতে পারেন।

এ প্রসঙ্গে ডিসিপি সাইদুলু আদাভাট বলেন, ‘‘রাত ১টা নাগাদ আমাদের কাছে একটি ফোন আসে। এক মহিলা জানান, তিনি তাঁর পুত্র এবং কন্যাকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করেছেন। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছই এবং মহিলাকে গ্রেফতার করি।’’ মৃতদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যও পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Andhra Pradesh Crime News Murder Mother
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE