গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে বিশ্বের বৃহত্তম চিড়িয়াখানা গড়ার জন্য মুকেশ অম্বানীর সংস্থা রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-কে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে ‘কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের’ (সেন্ট্রাল জু অথরিটি)-র সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা শনিবার খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত।
গুজরাতের জামনগরে রিলায়্যান্সের তেল শোধনাগারের অদূরে প্রায় ২৮০-একর জমির উপর বিশ্বের বৃহত্তম চিড়িয়াখানা গড়ার জন্য বছর দেড়েক আগেই সেন্ট্রাল জু অথরিটি ছাড়পত্র দিয়েছিল। কাজও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলেন পরিবেশপ্রেমীদের একাংশ। বিধি ভেঙে কেন একটি বেসরকারি শিল্পসংস্থাকে চিড়িয়াখানা গড়া এবং বন্যপ্রাণ সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সে প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন তাঁরা।
শনিবার বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারির বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অম্বানীদের প্রস্তাবিত ‘গ্রিনস জুলজিক্যাল রেসকিউ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার’ স্বীকৃত চিড়িয়াখানার পাশাপাশি প্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসনকেন্দ্রের ভূমিকাও পালন করবে। ফলে এ ক্ষেত্রে বিরোধিতা ভিত্তিহীন।
আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী অম্বানীদের চিড়িয়াখানার বন্যপ্রাণীদের দেখভালের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকার আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি, বন্যপ্রাণ নিয়ে ব্যবসার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন। সেই আশঙ্কা নস্যাৎ করে দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, ‘আবেদনকারী এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ নন।’’
প্রসঙ্গত, রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ সূত্রের খবর, জামনগরের ওই চিড়িয়াখানায় থাকবে শতাধিক প্রজাতির জীবজন্তু, পাখি এবং সরীসৃপ। প্রকল্পটি রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছেন মুকেশের ছোট ছেলে অনন্ত। ২০২৩ সালের শেষে ‘গ্রিনস জুলজিক্যাল রেসকিউ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার’ নির্মাণ হবে বলে মুকেশের সংস্থা আশাবাদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy