অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আইন কমিশনের প্রশ্ন বয়কট করল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি) ও অন্য কয়েকটি মুসলিম সংগঠন।
তাদের দাবি, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আলাদা পরিচয় হারিয়ে যাবে। আইন কমিশন এখন কেন্দ্রের হয়ে কাজ করছে। আর কেন্দ্র মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে। আইন কমিশনের দাবি, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার বিষয়টি দেশে বৈষম্য মেটানোর চেষ্টা। আইন কমিশনের এই দাবিকে ‘ফাঁদ’ বলে বর্ণনা করেন জামাতে-উলেমা-ই-হিন্দের সভাপতি মৌলানা আরশাদ মাদানি। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্র নিজেদের ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছে। এমন পদক্ষেপ প্রত্যাহার করা হবে বলেই আমাদের আশা। তা না হলে ভবিষ্যতে আমরা আমাদের পরবর্তী কমর্সূচি ঠিক করব।’’
মুসলিম সংগঠনগুলির মতে, নিয়ন্ত্রণরেখায় হিংসা-সহ দেশ এখন বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে মতামত চাওয়ার বদলে সরকারের উচিত এই সব সমস্যার সমাধান করা।
মুসলিম বিবাহবিচ্ছেদের তিন তালাক প্রথার বিরুদ্ধে মোদী সরকারের অবস্থান নিয়েও সরব হন মাদানিরা। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানায়, তিন তালাকের মতো বৈষম্যমূলক রীতি ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে থাকতে পারে না। আরশাদ মাদানি ও মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি রেহমানির মতো নেতাদের মতে, মুসলিমদের চেয়ে অন্য সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের হার অনেক বেশি। মুসলিম সমাজের সব অংশ ও মহিলারাও দেওয়ানি বিধি সংক্রান্ত প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ বলেই দাবি তাঁদের।
কিন্তু তিন তালাককে কোরান-বিরোধী দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে ‘ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন। এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে রেহমানি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে এমন আন্দোলন করারও অধিকার রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy