Advertisement
E-Paper

হোমে মৃত ২ তরুণী, খবর গেল না পুলিশে

আবার বিহার। বোম-কাণ্ড এ বার খাস পটনায়! অস্বাভাবিক ভাবে দুই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে শহরের এক বেসরকারি হোমে। পটনার রাজীব নগর থানার নেপালি নগরে এলাকার এই ঘটনার দু’দিন পরে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৫৯

আবার বিহার। বোম-কাণ্ড এ বার খাস পটনায়! অস্বাভাবিক ভাবে দুই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে শহরের এক বেসরকারি হোমে। পটনার রাজীব নগর থানার নেপালি নগরে এলাকার এই ঘটনার দু’দিন পরে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত শুক্রবার রাতেই মৃত্যু হয়েছিল ওই দুই তরুণীর। কিন্তু তাঁদের পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় শনিবার রাতে। হাসপাতালের সুপার রাজীব রঞ্জন বলেন, ‘‘মৃত অবস্থায় দুই তরুণীকে আনা হয়েছিল। আমরা দেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি।’’ পুলিশ আপাতত দু’জনকে আটক করে জেরা করছে। পটনার জেলাশাসক কুমার রবি এবং এসএসপি মনু মহারাজ ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া গেলে কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ১০ অগস্ট রাতে দশ মিনিটের ব্যবধানেই দুই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। প্রথম জনের মৃত্যু হয় রাত ৯টা ২৬ মিনিটে এবং দ্বিতীয় জনের ৯টা ৩৫ মিনিটে। সে কারণেই পুলিশ গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। মৃত্যুর পরপরই সরাসরি কেন পুলিশকে জানানো হল না, উঠেছে সেই প্রশ্নও। পুলিশ হোমে যায় হাসপাতাল সূত্রে খবর পেয়ে। বিহার রাজ্য সমাজ কল্যাণ দফতরের তদারকিতে একটি বেসরকারি সংস্থা হোমটির দেখভাল করত। দফতরের আধিকারিকেরাও ঘটনার পরে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। আপাতত তাঁরা কিছু বলতে রাজি নন।

গত শুক্রবার দুপুরে ওই হোম থেকে চার তরুণী পালানোর চেষ্টা করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় তাঁদের ধরে ফেলে হোম কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দারাই হেল্পলাইনে পুলিশকে জানিয়েছিল। ঘটনাস্থলে গিয়ে হোমের আবাসিক ও কর্মীদের জেরাও করে পুলিশ। কত জন হোমে রয়েছেন সেই রেজিস্ট্রার খতিয়ে দেখা হয়। তবে কেউ অসুস্থ ছিলেন কি না তা জানা যায়নি। আচমকা রাতে কী করে দু’জন মারা গেলেন, তা ধোঁয়াশায়।

অন্য দিকে, মুজফফরপুর হোমের ধর্ষণ কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুরের ছেলে রাহুল আনন্দকে গত কাল দীর্ঘক্ষণ জেরা করে সিবিআই। এর পরে আজ সকালে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। মুচলেকার শর্ত তদন্তে সহযোগিতা করবেন ও শহর ছেড়ে যাবেন না। গত কাল রাজ্যের জেলগুলিতে বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার সেই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। ব্রজেশ অভিযানের সময়ে জেলের ভিজিটরস রুমে বসে ছিল। তাঁর কাছ থেকে ৪০ জনের ফোন নম্বরের দু’টি তালিকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই তালিকা রাজ্যের এক মন্ত্রী ও সাংসদ-সহ প্রভাবশালীদের নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Girl Patna Bihar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy