পাটীদার ও পঞ্জাবের শিখদের কাছে টানার চেষ্টা করলেন মোদী। ছবি: পিটিআই।
সকালে পাটীদার। পাখির চোখ গুজরাত। বিকেলে শিখ। লক্ষ্য পঞ্জাব।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের পাটীদার ও পঞ্জাবের শিখদের কাছে টানার চেষ্টা করলেন। চলতি বছরের শেষে গুজরাতের ভোট। কংগ্রেস পাটীদার নেতাদের সামনে এনে গুজরাতের এই প্রভাবশালী ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসানোর চেষ্টা করছে। আজ পাল্টা চালে মোদী সুরাতের ‘গ্লোবাল পাটীদার বিজনেস সামিট’-এ ভিডিয়ো কনফারেন্সে যোগ দিয়ে পাটীদারদের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে লগ্নির আহ্বান জানান। গুজরাতিতে বক্তৃতা করে ব্যাঙ্ক ক্ষেত্রে সংস্কারের পরামর্শও চাইলেন।
তার থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ হল, আজ প্রধানমন্ত্রী ফের দিল্লিতে নিজের বাসভবনে শিখ সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট জনেদের স্বাগত জানিয়েছেন। সেখানে তিনি হাজির হয়েছেন মেরুন রঙের পাগড়ি পরে। বলেছেন, ভারতের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সম্পর্কে শিখ সম্প্রদায় সেতুবন্ধনের কাজ করেন।
এ বারই প্রথম নয়। গত কয়েক মাসে প্রধানমন্ত্রী একাধিক বার শিখ সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছেন। পঞ্জাবের ভোটের আগে এই উদ্যোগকে নির্বাচনী রাজনীতির অঙ্গ হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তার পরেও মোদীর একই কর্মসূচি বজায় থাকায় রাজনীতিবিদেরা মনে করছেন, তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পঞ্জাবের চাষিদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এ দেশে ও গোটা বিশ্বেই শিখদের মনে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। মোদী তা দূর করার চেষ্টা করছেন। পঞ্জাবে আম আদমি পার্টি ক্ষমতায় আসার পাশাপাশি কংগ্রেস ও অকালি দল দুর্বল হয়ে পড়ায় আগামী দিনে বিজেপির নিজস্ব শক্তিও বাড়াতে চাইছেন তিনি।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লায় শিখ গুরু তেগ বাহাদুরের ৪০০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে শিখদের উপরে মোগলদের অত্যাচারের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। কিন্তু তার পরে অকাল তখতের জাঠেদার বা প্রধান পুরোহিত মোদী জমানাতেই শিখ-সহ সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতনের প্রসঙ্গ ও শিখদের মনে অবিশ্বাসের কথা তুলে ধরেছিলেন। মোদী আজ শিখ সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট জনেদের বাড়িতে ডেকে অবিশ্বাস দূর করার চেষ্টা করলেন। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী হাজির ছিলেন। কানাডার প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ রুবি কউল ঢালিয়াও এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy