শুক্রবার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে এই ছবির। ৮ এপ্রিলের সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে ফের সর্বদল বৈঠক ডাকল কেন্দ্র। আগামী ৪ ডিসেম্বর শুক্রবার এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। লোকসভা ও রাজ্যসভার সব দলের নেতা-নেত্রীদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে বলে সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। বৈঠকে সরকার পক্ষের নেতা হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দেশে কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সর্বদল বৈঠক ডাকল মোদী সরকার। এ বারের বৈঠকে সরকারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী থাকতে পারেন বলে পিটিআই জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে সব দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও খবর।
গত ৮ এপ্রিলের ওই বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল মূলত দেশব্যাপী লকডাউন ও আনলক প্রক্রিয়া। কী ভাবে কঠোর লকডাউন প্রয়োগ করা যায়, কখন থেকে শিথিলতা আনা যেতে পারে, সেই সব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করেছিলেন বিরোধী নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গুলাম নবি আজাদ, তৃণমূলের সুদীপ ভট্টাচার্য-সহ অধিকাংশ দলের নেতা-নেত্রীই অংশগ্রহণ করেছিলেন।
তবে এখন দেশে কোভিড সংক্রমণের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই এ বারের মূল আলোচ্য বিষয় হতে পারে টিকার ব্যবস্থাপনা নিয়ে। কিছু দিন আগে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে টিকা আসলে দ্রুত সাধারণকে প্রয়োগের বন্দোবস্ত করে রাখার কথা বলেছেন মোদী। পাশাপাশি শনিবার তিনটি টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার কার্যালয় ও উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠক সেরেছেন অন্য তিনটি সংস্থার সঙ্গে। এই প্রেক্ষিতেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষদের অনুমান, শুক্রবারের বৈঠকের মূল অ্যাজেন্ডা হতে চলেছে কোভিড টিকা।
তবে পঞ্জাব-হরিয়ানায় কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি এবং সরকারের দমনের চেষ্টা ঘিরে শাসক-বিরোধী সঙ্ঘাত বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি বৈঠকে যোগ দেয় কি না, সে দিকেও নজর থাকবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy