Advertisement
E-Paper

ঠগেদের সর্দার মোদী, নয়া তোপ রাহুলের

‘মোদী-অম্বানীকা দেখো খেল/ হ্যাল-সে ছিন লিয়া রাফেল / জিস অফিসার নে চোরি সে রোকা / ঠগো কা সর্দার নে উসকো ঠোকা...।’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:০৩
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

‘মোদী-অম্বানীকা দেখো খেল/ হ্যাল-সে ছিন লিয়া রাফেল / জিস অফিসার নে চোরি সে রোকা / ঠগো কা সর্দার নে উসকো ঠোকা...।’ দশ লাইনের ছড়াটা টুইটারে দিয়েছেন রাহুল গাঁধী। রাফাল-চুক্তি নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে নাম না-করে ‘ঠগেদের সর্দার’ বলেছেন। বার করেছেন নতুন অস্ত্রও। কংগ্রেস সভাপতির এ বার অভিযোগ, রাফালের চড়া দাম নিয়ে চুক্তির বিরোধিতা-করা আমলাকেই কৌশলে সরিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যার পাল্টা ব্যাখ্যা দিতে ফের মাঠে নামতে হয়েছে নির্মলা সীতারামনকে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, ‘‘রাফাল-চুক্তি বাতিল করতে চাইছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্সে গিয়ে বিমান কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মাত্র। কোনও চুক্তি হয়নি।’’

ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের বিস্ফোরক দাবির পরে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ গত কাল বলেছেন, ‘‘রাফাল চুক্তির সময়ে আমি ক্ষমতায় ছিলাম না।’’ কিন্তু মোদী সরকারই যে অনিল অম্বানীর সংস্থাকে বরাত দিয়েছিল— ওলাঁদের সেই বক্তব্য খণ্ডন করেননি তিনি। এর পরেই কংগ্রেস আজ অভিযোগ তোলে যে, রাফালের বর্ধিত দাম নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যুগ্মসচিব রাজীব বর্মা।

তাঁর মত ছিল, রাফালের চেয়ে ২০% সস্তায় ইউরোফাইটার যুদ্ধবিমান কেনা হোক। কিন্তু রাজীবকে ছুটিতে পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে স্মিতা নাগরাজকে এনে রাফালের রাস্তা মসৃণ করা হয়। এই নিয়েই রাহুলের ছড়া। কংগ্রেস নেতা জয়পাল রেড্ডির কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী চুক্তি স্বাক্ষরের পর কোনও অধস্তন কর্মী আপত্তি তুললেন, এটি বেনজির।’’

আরও পড়ুন:অবাধ অযোধ্যা: অধিগ্রহণ বৈধ, এ বার মূল মামলা​

রাহুলকে জবাব দিতে ওলাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। নির্মলার দাবি, ওই যুগ্মসচিবকে ছুটিতে পাঠানো হয়নি। তাঁর বিদেশ যাওয়া পূর্বনির্ধারিত ছিল। আলোচনার সময়ে ভিন্ন মত আসতেই পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই অফিসারের স্বাক্ষর-সহই রাফাল-চুক্তি মন্ত্রিসভায় গিয়েছিল অনুমোদনের জন্য।

অনিল অম্বানীকে বরাত দেওয়ায় সরকারের ভূমিকা নেই বলে ফের দাবি করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউরোফাইটার যখন দাম কমানোর প্রস্তাব দিয়েছিল, তখন দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যায়। সিএজি গোটা বিষয়টি দেখছে। সরকারি সূত্রেরও দাবি, যথাযথ পদক্ষেপ মেনেই এগিয়েছে চুক্তি।

নির্মলার যুক্তি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হ্যাল’ বিমান বানাতে আড়াই গুণের বেশি সময় নিচ্ছিল বলেই কংগ্রেস জমানায় তাদের সঙ্গে সমঝোতা সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু তখনকার অংশীদারি নীতি মেনেই এই চুক্তি এগিয়েছে। রাফাল-নির্মাতা সংস্থা ‘দাসো’ এখনও তাদের অংশীদার সংস্থার নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে জানায়নি বলে দাবি করেন নির্মলা। বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তি দিয়ে এ কে অ্যান্টনি, প্রণব মুখোপাধ্যায় অনেক বার দাম জানাননি। আমরা তিন বার রাফালের মূল দাম সংসদে বলেছি। প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্সে গিয়ে বিমান কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মাত্র। তাই তখন বিদেশসচিবরা বিষয়টি জানতেন না। পরে সব নিয়ম মেনেই চুক্তি হয়েছে।’’

Rahul Gandhi Narendra Modi Rafale Deal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy