চাষির ক্ষোভেই হার হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। রাজস্থানের ভোটে জয়ের পরে রাজ্যে প্রথম কৃষক সমাবেশে দাবি করলেন রাহুল গাঁধী। কৃষকদের বললেন, ‘‘আপনারা ফ্রন্টফুটে খেলুন, মোদীর মতো ব্যাকফুটে নয়।’’ বুধবার কংগ্রেস সভাপতি যখন রাজস্থান থেকে মোদীকে নিশানা করছেন, তখনই মহারাষ্ট্রে একই সুর শোনা গেল শিবসেনার শীর্ষ নেতা উদ্ধব ঠাকরের গলাতেও। চাষিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরতে গিয়ে মোদীকে কটাক্ষ করে শিবসেনা নেতা বলেন, ‘‘আমি ‘মন কি বাত’-এর কথা বলি না। ‘জান কি বাত’-এর কথা বলছি।’’
এ দিন রাহুল ছিলেন জয়পুরে, মোদী আগরায়। উত্তরপ্রদেশের জন্য ২৯৮০ কোটি টাকার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী আগরায় পৌঁছনোর আগেই চাষিদের দুর্দশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। বলেন, ‘‘দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশ বেশি দূরে নয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের কৃষক, ব্যবসায়ীদের সমস্যার কোনও খবর নেই।’’ অখিলেশের কটাক্ষ, ‘‘আশা করি, ভালবাসা ব্যাপারটা তাজমহলের শহর থেকে বুঝে আসবেন মোদী ।’’
আগরায় পৌঁছেই অখিলেশের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের কথা টেনে আনেন মোদী। বলেন, ‘‘বালি থেকে যারা টাকা কামাতেন তারাই এখন জোট তৈরি করছেন। তদন্তকারী সংস্থা এঁদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুললেই এঁরা হইচই শুরু করেন। আসলে চৌকিদার জেগে রয়েছে বলেই এ সব হচ্ছে।’’ মায়াবতী ও অখিলেশের জোট নিয়ে মোদীর খোঁচা, রাজনীতিতে লাভের জন্য ১৯৯৫ সালে লখনউয়ের গেস্ট হাউসে মায়াবতীর উপরে হামলার ঘটনা এঁরা ভুলে গিয়েছে।
পাঁচ রাজ্যের ভোটের প্রচারে চাষিদের দুর্দশা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল। যার ফলও মিলেছে। জয়পুরে রাহুল এ দিন বলেন, ‘‘চাষিদের সমস্যার মেটানোর ক্ষেত্রে ঋণ মকুব একটা ছোট পদক্ষেপ। সঙ্কট মেটাতে প্রয়োজন আর একটি সবুজ বিপ্লবের।’’ তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, উনিশে ক্ষমতায় এলে দেশে কৃষিঋণ মকুবের জন্য পদক্ষেপ করবে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রের বীডে কৃষকদের সভায় লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গ টেনে আনেন উদ্ধবও। জানিয়ে দেন, চাষিদের সমস্যা মেটাতে না পারলে মোদীর দলের সঙ্গে সমঝোতা করার কথা ভাববে না শিবসেনা। একজন কৃষি বিশেষজ্ঞের দাবিকে সামনে এনে ‘প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা’কে রাফালের মতোই বড় কেলেঙ্কারি হিসেবে তুলে ধরেন উদ্ধব।