অবাধ বাণিজ্য চুক্তিকে পাখির চোখ করে ব্রিটেনগামী বিমানে উঠেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর পহেলগাম কাণ্ডের পর এই প্রথম ব্রিটেন সফরে গিয়ে তিনি সন্ত্রাস প্রশ্নেও যে সরব হবেন সেটা নির্ধারিতই ছিল। পাকিস্তান এবং ব্রিটেন-সহ পশ্চিমের বাকি দেশে খলিস্তানি সংগঠনের ক্রমবর্ধমান ভারত-বিরোধিতার পাল্টা ভাষ্য দিয়ে মোদী আজ বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রশ্নে কোনও দ্বিচারিতা যে করা চলে না, এই বিশ্বাসে আমরা একজোট। আমরা এ ব্যাপারেও একমত হয়েছি যে শক্তি চরমপন্থী আদর্শ ছড়িয়ে চলেছে, তারা যেন গণতন্ত্রের নামে পাওয়া স্বাধীনতার অপব্যবহার করতে না পারে। যারা সেই স্বাধীনতার নামে গণতন্ত্রের অপব্যবহার করবে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী কিয়র স্টার্মারের সঙ্গে বৈঠকের পর মোদী ব্রিটেন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা করার জন্য। তিনি এ কথাও জানিয়েছেন, “ভারত এবং ব্রিটেনের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সহযোগিতা বাড়াবে, অর্থনৈতিক অপরাধ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ফেরত পাঠাতে।” প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে ব্রিটেনে বসবাস করছেন ৯ হাজার কোটি টাকা আর্থিক তছরূপের ঘটনায় অভিযুক্ত বিজয় মাল্য। বিশ্বের ভূকৌশলগত অস্থিরতা এবং সংঘাত প্রসঙ্গে মোদীর বক্তব্য, “ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সুস্থিতি, ইউক্রেন ও পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দ্রুত শান্তি ও সুস্থিতি ফেরাকেই সমর্থন করি আমরা। ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা, মান্যতা দেওয়া প্রতিটি রাষ্ট্রের কর্তব্য। আজকের যুগ চায় উন্নয়ন, প্রসারণবাদ নয়।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)