সে দিন: আহত জওয়ানদের সঙ্গে। মোদীরই পোস্ট করা টুইট।
কার্গিল তাঁর কাছে তীর্থক্ষেত্র। বিশ বছর আগে যখন পাক বাহিনীর সঙ্গে মরণপণ যুদ্ধ করছে ভারতীয় সেনা, তখন সেখানে গিয়ে ভারতীয় সেনাদের শৌর্যকে প্রণাম জানিয়েছিলেন তিনি। শনিবার রাজধানীর ইন্দিরা গাঁধী স্টেডিয়ামে কাার্গিল বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আবেগমথিত গলায় বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আজ সন্ধ্যেয় কার্গিল যুদ্ধের শহিদদের স্মৃতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠান মঞ্চে এক নিহত সেনার স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে প্রধানমন্ত্রীর চোখ দিয়েও জল গড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু ক্ষণ চুপ করে বসে থাকেন তিনি। পরে বলতে উঠেও গলায় ছিল সেই আবেগের রেশ। মোদী বলেন, ‘‘২০১৪ সালে শপথ নেওয়ার পরে কার্গিল যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। যদিও কুড়ি বছর আগে যুদ্ধ যখন চরমে তখন আমিও কার্গিলে গিয়েছিলাম। দুশমন (পাক সেনা) পাহাড়ের উপরে বসে নিজেদের খেলা খেলছিল। মৃত্যু সামনে ছিল। তবু আমাদের জওয়ান তিরঙ্গা নিয়ে পাহাড়ে ওঠার প্রচেষ্টা করছিল। এক জন সাধারণ নাগরিকের মতো আমি সেনাবাহিনীতে থাকা সেনার শৌর্যকে প্রণাম করেছিলাম। কার্গিলের বিজয়স্থল আমার কাছে তীর্থস্থল।’’
১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় মোদী ছিলেন বিজেপির এক জন সাধারণ নেতা। এর দু’বছর পরে তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হন। এক জন সাধারণ নেতা হিসেবে যুদ্ধ চলাকালীন তিনি কী ভাবে কার্গিলের যুদ্ধক্ষেত্রে গেলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে খানিক গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। সম্ভবত সেই গুঞ্জন থামাতেই অনুষ্ঠানের পরে কার্গিলে সেনাদের সঙ্গে তাঁর বেশ কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন মোদী। জানান, সেই সময়ে তিনি দলের তরফে কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। কার্গিল যুদ্ধের সময়ে সেখানে গিয়েছিলেন সেনাদের উৎসাহ দিতে। হাসপাতালে গিয়ে আহত সেনাদের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তিনি।
বিরোধীদের একাংশ অবশ্য এত বছর বাদে কার্গিল যাওয়ার ঘটনাকে ফলাও করে বলাকে মোদীর নিজেকে ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ হিসেবে প্রতিপন্ন করার আর একটা উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘নিজের ছাপান্ন ইঞ্চির সঙ্গে দেশের জাতীয়তাবাদের মিশ্রণ তৈরিতে মোদীজির জুড়ি নেই। নইলে এত দিন বাদে তিনি এ সব কথা বলছেনই বা কেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy