Advertisement
১৯ মে ২০২৪

সন্ত্রাস নিয়ে পাক মনোভাবের নিন্দা

কাছে টানলেন বাংলাদেশকে। জানিয়ে দিলেন, সন্ত্রাস দমনে ঢাকার ভূমিকায় তিনি আশ্বস্ত। আবার একই সঙ্গে খোঁচা দিলেন পাকিস্তানকে। নাম নিলেন না। কিন্তু সন্ত্রাসে মদতের অভিযোগ তুলে প্রচ্ছন্ন আক্রমণের মুখ ঘুরিয়ে দিলেন পশ্চিম সীমান্তের প্রতিবেশীর দিকেই।

সম্মান: একাত্তরের যুদ্ধে শহিদ ভারতীয় সেনাবাহিনীর ল্যান্সনায়েক অ্যালবার্ট এক্কার স্ত্রীকে সম্মান জানাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার দিল্লির মানেকশ সেন্টারের ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ছাড়া ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। নিজস্ব চিত্র

সম্মান: একাত্তরের যুদ্ধে শহিদ ভারতীয় সেনাবাহিনীর ল্যান্সনায়েক অ্যালবার্ট এক্কার স্ত্রীকে সম্মান জানাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার দিল্লির মানেকশ সেন্টারের ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ছাড়া ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৫৬
Share: Save:

কাছে টানলেন বাংলাদেশকে। জানিয়ে দিলেন, সন্ত্রাস দমনে ঢাকার ভূমিকায় তিনি আশ্বস্ত। আবার একই সঙ্গে খোঁচা দিলেন পাকিস্তানকে। নাম নিলেন না। কিন্তু সন্ত্রাসে মদতের অভিযোগ তুলে প্রচ্ছন্ন আক্রমণের মুখ ঘুরিয়ে দিলেন পশ্চিম সীমান্তের প্রতিবেশীর দিকেই।

সুকৌশলে দু’টো তাসই আজ খেললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

মুক্তিযুদ্ধে নিহত সেনাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে আজ নয়াদিল্লিতে মোদীর সঙ্গে মঞ্চে তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই মঞ্চ থেকেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘‘দক্ষিণ এশিয়ায় এমন এক মানসিকতা আছে, যা সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়। যে মানসিকতা বাধা দেয় গোটা এলাকার উন্নয়নে। ভারত ও বাংলাদেশ— দুই দেশকেই এর শিকার হতে হয়েছে।’’

মোদী আজ বলেন, ভারতের সঙ্গে তার প্রতিবেশী দেশগুলিও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাক— সেটাই তিনি চান। কিন্তু বাধা আসছে সেই পথেই। এখানেই প্রচ্ছন্ন ভাবে মোদী পাকিস্তানকে বিঁধেছেন বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বড় দুঃখের কথা, (উন্নয়নের) এই বিচারধারার বিপরীত এক মানসিকতাও আছে দক্ষিণ এশিয়ায়। সেই মানসিকতা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক। তার ভিত্তি মানবতা নয়, হিংসা।’’

আরও পড়ুন: এ কী হাল স্বাস্থ্যের! উদ্বিগ্ন আমেরিকা

মোদীর বক্তব্য, সন্ত্রাসের এই মানসিকতা যারা তৈরি করে, তাদের কাছে বিকাশের চেয়ে বিনাশের মূল্য বেশি, বিশ্বাসের চেয়ে মূল্য বেশি বিশ্বাসঘাতকতার। আর তাই শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নের সামনে তা সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই মানসিকতাই গোটা অঞ্চলের উন্নয়নের গতি রোধ করে। মোদী বলেন, ‘‘আমরা চাইব, সমস্ত দেশের নাগরিকেরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যান। কিন্তু তার জন্য সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদী মানসিকতাকে বর্জন করাটা আগে প্রয়োজন।’’

সন্ত্রাস রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সমঝোতার ঘোষণা হয়েছে আজ। মোদী জানিয়েছেন, এই সমঝোতা যেমন দু’দেশের মানুষের কল্যাণ করবে, তেমনই দূরে রাখবে চরমপন্থী শক্তিকে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে হাসিনা যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছেন, তা সব দেশের কাছেই অনুপ্রেরণা বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi Pakistan Bangladesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE