Advertisement
E-Paper

আমলারা দূত মোদীর স্বপ্নের

দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদ্য সমাপ্ত বৈঠকে ২০২২ সালের মধ্যে গোটা দেশকে গেরুয়া পতাকার নীচে আনার ডাক দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সেই ‘নতুন ভারত’-এর স্বপ্নপূরণে সরকারি আমলাদের আজ ‘দূত’ হিসাবে নিয়োগ করলেন প্রধানমন্ত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৫৭

দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদ্য সমাপ্ত বৈঠকে ২০২২ সালের মধ্যে গোটা দেশকে গেরুয়া পতাকার নীচে আনার ডাক দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সেই ‘নতুন ভারত’-এর স্বপ্নপূরণে সরকারি আমলাদের আজ ‘দূত’ হিসাবে নিয়োগ করলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ‘‘আমার রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব নেই। বরং সেটা একটু বেশিই আছে!’’ আর সেই রাজনৈতিক সদিচ্ছা রূপায়ণে কাজের ক্ষেত্রে উৎকর্ষকে অভ্যাসে পরিণত করার জন্য আমলাদের পরামর্শ দিলেন মোদী।

উত্তরপ্রদেশ ভোটে সাফল্যের পরেই বদলে গিয়েছে দলের স্লোগান। বিজেপির এখন নিশানা বিরোধী-শূন্য ভারত গড়া। দেশের সব রাজ্যের প্রতিটি পঞ্চায়েত থেকে সংসদ— সব আসন দখলের কর্মসূচি নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। আর সেই লক্ষ্যপূরণে উন্নয়নের যে স্বপ্ন মোদী দেখছেন, তা বাস্তবায়নের দায় যে আমলাদের— সেটা আজ বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদী। কারণ সরকারের ভাল কাজগুলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমলাদেরই। মোদীর কথায়, ‘‘রাজনৈতিক সদিচ্ছায় সংস্কারমুখী সিদ্ধান্ত হয়। সেগুলিকে বাস্তবে রূপায়িত করেন আমলারা। আর সরকারের সিদ্ধান্তে জনগণ সক্রিয় ভাবে অংশ নিলে সমাজে পরিবর্তন আসে। এই গোটা বিষয়টি আমাদের এক সুরে বাঁধতে হবে।’’

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদে নিরপেক্ষ মুখ খুঁজছেন সনিয়া

গত কাল অনুষ্ঠান ১২ মিনিট দেরিতে শুরু হওয়ায় আমলাদের আত্মসমীক্ষার ডাক দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এমন নয় যে আজ আমলাদের বকুনি দেননি মোদী। তবে সেই বকুনিকে ইতিবাচক সমালোচনা হিসাবে ব্যাখ্যা করছেন আমলারা। লাল ফিতের ফাঁসে উন্নয়ন আটকে থাকা নিয়েও আজ সরব হন মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে দেখা গিয়েছে বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকা ফাইল বা প্রকল্পের কাজ ২৪ ঘণ্টায় ছাড়পত্র পেয়ে যায়।’’ অন্য সময়ে কেন তা হয় না, তা নিয়ে মোদী প্রশ্ন তুলেছেন। তেমনি কোনও প্রকল্প নিয়ে দু’টি মন্ত্রকের আইনি লড়াইয়ে আখেরে সময় নষ্ট হয় বলেও আমলাদের সতর্ক করে দেন মোদী।

নরেন্দ্র মোদী নিজে সোশ্যাল মিডিয়ার গুণগ্রাহী। কিন্তু অপব্যবহারের কারণে তাঁর বৈঠকে আমলাদের মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে নিজেই জানান মোদী। কী ভাবে অফিসারেরা বৈঠক চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রতিটি মুহূর্তের ছবি দিতে থাকেন, তা অভিনয় করে দেখান তিনি। মোদী বলেন, ‘‘টিকাকরণ কর্মসূচির খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিন। কিন্তু নিজের পোলিও খাওয়ানোর ছবি তুলে হাততালি কুড়োনোটা বোধ হয় কাম্য নয়।’’

social media Bureaucrats Narendra Modi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy