নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
পকোড়া বেচে ২০০ টাকা আয়ও রোজগার। এমনটাই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গোটা দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা এমন হাজারো রোজগারের হিসেব কষে ভোটের আগেই নতুন অঙ্ক নিয়ে আসছেন নরেন্দ্র মোদী।
বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, প্রতিশ্রুতি যতই দিন প্রধানমন্ত্রী, তাঁর জমানায় বেকারির হার বাড়তে শুরু করেছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে বেকারি ছুঁয়েছে ৭১ সপ্তাহের রেকর্ড। কিন্তু কেন্দ্র বলছে, রোজগারের আসল অঙ্ক নেই কারও কাছে। সে কারণে নীতি আয়োগের প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ অরবিন্দ পানাগড়িয়ার নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী চান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আসুক রোজগারের সেই ‘আসল অঙ্ক’। আর তার পর প্রতি তিন মাসে তা প্রকাশ করা হোক। যাতে নির্ধারিত সময়ে লোকসভা নির্বাচন হলে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে অন্তত তিনটি হিসেব সামনে থাকে।
কী ভাবে বাড়ানো হবে রোজগারের অঙ্ক? মোদী সরকারের এক মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, প্রধানমন্ত্রী তো পথ বাতলেই দিয়েছেন। ছোট দোকান চালিয়ে কিংবা ঠেলাগাড়িতে সামগ্রী বিক্রি করে উপার্জন করাও রোজগার। আবার অটো কিংবা বিভিন্ন সংস্থার গাড়ি চালিয়ে উপার্জনও রোজগার। ‘হোম ডেলিভারি’ যাঁরা করেন, তাঁরাও রয়েছেন ‘পে-রোল’-এ। ফলে এ সবকে কেন সংগঠিত ক্ষেত্রের রোজগার বলে ধরা হবে না? বিভিন্ন পেশাদারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের রোজগার নিয়ে সমীক্ষা তো হচ্ছেই, ডাক্তার, উকিল, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্টদের সংগঠনের থেকেও তালিকা এনেও স্বরোজগারের ব্যাপারে তথ্য নেওয়ার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: মিডিয়া-সেনা হবে মোদীর মুখ আর কান
বেকারি এমন একটি বিষয়, যেটি এখনও মোদীর গলার কাঁটা হয়ে রয়েছে। যা নিয়ে রাহুল গাঁধীরা উঠতে বসতে মোদীকে বিঁধে আসছেন। নোটবন্দি আর জিএসটির জন্য অসংগঠিত ক্ষেত্র আরও মার খেয়েছে বলে কংগ্রেস লাগাতার অভিযোগ করে চলেছে। কিন্তু ওই মন্ত্রীর মতে, আসল তথ্য সামনে এলেই বিরোধীদের মুখ বন্ধ হবে। দেশে বেকারি যে একটি সমস্যা, সরকারের কেউ তা অস্বীকার করে না। কিন্তু সমস্যা এক দিনে হয়নি। তবে এর সমাধান কী হতে পারে, তা খুঁজছেন মোদীই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy