Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Ajit Doval

চিন, পাকিস্তানকে একযোগে বার্তা দিলেন ডোভাল

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও তাকে পুঁজি জোগানো— আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তার সামনে গুরুতর চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসবাদ কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।”

A Photograph of National Security Advisor Ajit Doval

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩ ০৭:৪১
Share: Save:

পাকিস্তান এবং চিনের সঙ্গে একই মঞ্চে বসে দুই প্রতিবেশীকেই জোরালো বার্তা দিল সাউথ ব্লক। আজ এসসিও-র জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তৃতায় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষার উপরে জোর দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ এবং চিনের বিরুদ্ধে সম্প্রসারণবাদের অভিযোগকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার তুলে ধরার চেষ্টা করছে ভারত। কার্যত এসসিও-র মঞ্চ এমনই যে সেখানে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলির পাশাপাশি, এই দুই দেশও (চিন, পাকিস্তান) সদস্য। আজকের সম্মেলনে সে দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন ভিডিয়ো মাধ্যমে।

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও তাকে পুঁজি জোগানো— আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তার সামনে গুরুতর চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসবাদ কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।” চিনের নাম না করে তিনি এসসিও-র দিকনির্দেশিকার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সদস্য দেশগুলির। বলেছেন, “এসসিও-র দিকনির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা রয়েছে, সদস্য দেশগুলি পারস্পরিক সার্বভৌমত্বের প্রতি অটল থাকবে। প্রত্যেকটি দেশ ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে মানবে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রশ্নে কোনও হুঁশিয়ারি দেওয়া বা শক্তিপ্রদর্শন থেকে বিরত থাকবে। কোনও দেশ নিজেদের সামরিক আধিপত্য অন্যত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবে না।”

কূটনৈতিক শিবিরের মতে, নাম না-করলেও ডোভাল-বার্তা থেকে এটা স্পষ্ট যে পূর্ব লাদাখে গত আড়াই বছর ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে চিনা সেনার অবস্থানকেই বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। এখানেই না থেমে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর নিয়েও বেজিংকে খোঁচা দিয়েছেন ডোভাল। তাঁর কথায়, “আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সেই উদ্যোগকে স্বচ্ছ হতে হবে। সকলের তাতে সমান অংশীদারি থাকবে, প্রত্যেকের সঙ্গে আলোচনা করে এগোতে হবে এবং সব চেয়ে বড় কথা সব রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান রাখতে হবে।”

প্রসঙ্গত, চিনের মহাযোগাযোগ প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নিয়ে বার বার ভারত আপত্তি জানিয়েছে। বলা হয়েছে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে যাচ্ছেএই প্রকল্পের রেলপথ। নয়াদিল্লির বক্তব্য, বেআইনি ভাবে ভূখণ্ডটি দখল করে রেখেছে ইসলামাবাদ। এখানে কোনও নির্মাণ ভারত সমর্থন করে না। কিন্তু চিন এখনও ওই অভিযোগে কর্ণপাত করেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ajit Doval Terrorism NSA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE