উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’য় এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। শনিবার এ কথা জানিয়েছেন এনসিপি (এস) প্রধান শরদ পওয়ার। তিনি বলেন, ‘‘এখনও এ বিষয়ে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।’’
প্রসঙ্গত, পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগেই গত ২১ জুলাই রাতে আচমকা উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান তিনি। পর দিন সকালেই সেই ইস্তফা গৃহীত হয়। এর পরে গত ১ অগস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর এই পদে নির্বাচন হবে। জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরির নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই দিনই জানানো হবে। ৭ অগস্ট নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ২১ অগস্ট পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন। মনোনয়নপত্র খতিয়ে দেখা হবে ২২ অগস্ট।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ অগস্ট। যদি সর্বসম্মতিক্রমে কেউ উপরাষ্ট্রপতি হন, তা হলে নির্বাচনের প্রয়োজন পড়বে না। আর যদি একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন, তা হলে নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়বে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর ডাকে বৃহস্পতিবার রাতে নৈশভোজে সমবেত হয়েছিলেন ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা। সেখানে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জল্পনা ছিল। কিন্তু শরদ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এখনও এ বিষয়ে কোনও ঐকমত্য হয়নি বিরোধী জোটে।
আরও পড়ুন:
নৈশভোজের আসরে রাহুলের পাশেই বসেছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের নবনির্বাচিত নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে, ওই নৈশভোজে এক কোণে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা উদ্ধব ঠাকরেকে। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনীতিতে। কিন্তু শরদের দাবি, এ নিয়ে নিরর্থক জল্পনা হচ্ছে। পাশাপাশি, ভাইপো অজিতের নেতৃত্বাধীন এনসিপির সঙ্গে একজোট হওয়ার সম্ভাবনায় জল ঢেলে তিনি বলেন, ‘‘কোনও অবস্থাতেই আমরা বিজেপির সহযোগী হব না।’’