উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট জানিয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর এই পদে নির্বাচন হবে। জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরির নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই দিনই জানানো হবে।
শুক্রবার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ৭ অগস্ট নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ২১ অগস্ট পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন। মনোনয়নপত্র খতিয়ে দেখা হবে ২২ অগস্ট। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ অগস্ট। যদি সর্বসম্মতিক্রমে কেউ উপরাষ্ট্রপতি হন, তা হলে নির্বাচনের প্রয়োজন পড়বে না। আর যদি একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন, তা হলে নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়বে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। সকাল ১০টা বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট চলবে। ওই দিনই ফলপ্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগেই গত ২১ জুলাই রাতে আচমকা উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান ধনখড়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান তিনি। পর দিন সকালেই সেই ইস্তফা গৃহীত হয়। ধনখড় ইস্তফাপত্রে লিখেছিলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এই পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত। যদিও এই তত্ত্ব বিরোধী দলগুলি মানতে নারাজ। বেশ কিছু দিন ধরেই উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে ধনখড়কে সরাতে চেয়েছিলেন বিরোধীরা। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও আনা হয়েছিল। সেই আবহে হঠাৎ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোকে অস্বাভাবিক বলেই মনে করেন বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬ অনুসারে কেবল লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদেরাই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন। নিয়ম অনুসারে, সংসদের দুই কক্ষের সদস্যদের নিয়ে একটি ইলেক্টোরাল কলেজ তৈরি করে নির্বাচন কমিশন। একক হস্তান্তরযোগ্য নির্বাচনী পদ্ধতিতে গোপন ব্যালটে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন সাংসদেরা।
নতুন যিনি উপরাষ্ট্রপতি হবেন, তিনি পুরো পাঁচ বছরের জন্যই পদে থাকবেন। ধনখড়ের ছেড়ে দেওয়া দু’বছরের জন্য নয়। স্বাভাবিক ভাবে যেখানে ২০২৭ সালে পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নির্ধারিত ছিল এবং নির্বাচিত সেই উপরাষ্ট্রপতির মেয়াদ হত ২০৩২ সাল পর্যন্ত। কিন্তু এ বার পরের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর। অর্থাৎ ২০৩০ সালে।