‘লভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে আইন আনতে চলেছে মহারাষ্ট্রের এনডিএ সরকার। আর ‘লভ জিহাদ’ নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করল এনডিএ-র শরিক দলই। কেন্দ্রের সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রী তথা মহারাষ্ট্রকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া (এ)-র প্রধান রামদাস অঠাওয়ালে রবিবার জানান, কেউ ভিন্ন ধর্মে বিয়ে করলে সেটিকে ‘লভ জিহাদ’ বলা যায় না। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন অঠাওয়ালে। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সকলকে সমান চোখে দেখেন এবং সকলের উন্নতি করেন।”
শুক্রবার লভ জিহাদ-এর বিরুদ্ধে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন মহারাষ্ট্র পুলিশের ডিজি রশ্মি শুক্ল। বাকি ছয় সদস্যের মধ্যে রয়েছেন নারী এবং শিশুকল্যাণ দফতর, সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর, আইন এবং বিচার দফতর, স্বরাষ্ট্র দফতর, বিশেষ সহযোগিতা দফতর এবং সামাজিক ন্যায়বিচার দফতরের প্রতিনিধিরা। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে ‘লভ জিহাদ’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হলেও এর ব্যাখ্যা নেই সেখানে।
মহারাষ্ট্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে অঠাওয়ালে বলেন, “ভিন্ন ধর্মের কাউকে বিয়ে করা হলে সেটিকে লভ জিহাদ বলা অন্যায়।” একই সঙ্গে মন্ত্রী জানান, ধর্মান্তরণ রুখতে পদক্ষেপ করা উচিত। অঠাওয়ালে বলেন, “পদক্ষেপ এমন করা উচিত, যাতে সামাজিক এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা হয়।”
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস এর আগে জানিয়েছিলেন, জোর করে ধর্মান্তরিত করা বন্ধ করতে কড়া আইন চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর সরকারের। বিশেষ করে অন্য ধর্মে বিয়ে করে ধর্মান্তরণ বন্ধ করতে তাঁর সরকারের ভাবনাচিন্তার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ‘লভ জিহাদ’ রুখতে ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ, অসমের বিধানসভায় বিল পাশ করা হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথের সরকার নতুন বিলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানার কথা বলেছে এই বিলে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও একই পথে হেঁটেছেন। তিনিও গত বছরে ‘লভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের কথা ঘোষণা করেন। অসম সরকারও দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পথে এগোতে চাইছে। এ বার মহারাষ্ট্রেও কড়া পদক্ষেপের ভাবনাচিন্তা শুরু হল। যে রাজ্যগুলি এ বিষয়ে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করেছে, তাদের সুপারিশ এবং আইনি ধারাগুলিও পর্যালোচনা করে দেখবে মহারাষ্ট্রের সাত সদস্যের কমিটি।