নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিল রেল। আপাতত এক সপ্তাহ ওই স্টেশনে বিকেল থেকে প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নয়াদিল্লি স্টেশন উত্তর রেলের নিয়ন্ত্রণাধীন। উত্তর রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শেখর উপাধ্যায় বলেন, “ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এক সপ্তাহ বিকেল ৪টে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্ল্যাটফর্ম টিকিটের বিক্রি বন্ধ থাকবে।” প্রসঙ্গত, প্ল্যাটফর্ম টিকিটে নির্দিষ্ট একটি সময়ের মেয়াদ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট স্টেশনে থাকতে পারেন যাত্রীরা।
ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সোমবার থেকেই নয়াদিল্লি স্টেশনে সিআরপিএফ এবং দিল্লি পুলিশকে মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। আহতেরা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দিল্লি পুলিশ জানায়, রেলের ঘোষণাকে কেন্দ্র করেই যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। ওই বিভ্রান্তির জেরেই পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল প্ল্যাটফর্মে। প্রয়াগরাজ যাওয়ার দু’টি ট্রেনের নাম প্রায় একই! একটির নাম ‘প্রয়াগরাজ স্পেশাল’ এবং অন্যটি ‘প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস’। এর জেরেই গোলযোগের সূত্রপাত বলে মনে করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
শনিবারের ঘটনায় প্রথমে ‘পদপিষ্ট’ শব্দটি ব্যবহারেই আপত্তি করেছিলেন রেল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছিলেন, ভিড়ে ধাক্কাধাক্কিতে কয়েক জন আহত হয়েছেন। পরে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করতে বাধ্য হন তাঁরা। রেলের তরফে মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা করে। রবিবার রেল দাবি করে, নয়াদিল্লি স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম বদল সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা হয়নি। সব ট্রেন সময়েই চলছিল। কিন্তু প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর দিল্লি পুলিশ জানায়, স্টেশনে গোলযোগ শুরু হয় রেলের ঘোষণার কারণেই। অভিযোগ, পর পর দু’টি ট্রেন ‘লেট’ করেছিল। ফলে ভিড় অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তার পর ১২ নম্বরের ট্রেনটি ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসবে বলে ঘোষণা করা হয়। তখনই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে এই দাবি মানতে চাননি রেল কর্তৃপক্ষ।