যাত্রীভোগান্তির ছ’দিন অতিক্রান্ত। ইন্ডিগো
যা-ই দাবি করুক, সপ্তম দিনেও তাদের বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হল না। সোমবারও তাদের
৩০০-র উপর উড়ান বাতিল করা হয়েছে। শুধু দিল্লি বিমানবন্দরেই বাতিল হয়েছে ১৩৪টি
বিমান। তার মধ্যে ৫৯টির দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল। আর ৭৫টির বিভিন্ন
গন্তব্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৩৬০টি উড়ান বাতিলের
খবর পাওয়া গিয়েছে।
বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে বাতিল হয়েছে ইন্ডিগোর ১২৭টি উড়ান। চেন্নাই বিমানবন্দরে এই সংখ্যাটি ৭১। সোমবার অহমদাবাদ বিমানবন্দরে বাতিল হয়েছে ইন্ডিগোর ২০টি উড়ান। বিশাখাপত্তনম, কলকাতা, মুম্বই বিমানবন্দর থেকেও বেশ কয়েকটি বিমান বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার ইন্ডিগোর ৬৫০টি উড়ান বাতিল করা হয়েছিল। বিমানসংস্থাটির তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, রবিবার তাদের ১,৬৫০টি উড়ান নির্ধারিত সূচি মেনে চলেছে। উল্লেখ্য, প্রতি দিন প্রায় ২,৩০০টি উড়ান পরিচালনা করে ইন্ডিগো। তার মধ্যে শুক্রবার মাত্র ৭০৬টি উড়ান চলেছে। রবিবার সেই সংখ্যা বেড়ে ১,৬৫০-এ গিয়ে ঠেকেছে।
বিমান বাতিলের কারণে সমস্যায় পড়া যাত্রীদের সমস্ত টাকা রবিবার রাত ৮টার মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ইন্ডিগো-কে। সন্ধ্যায় কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানায়, এখনও পর্যন্ত যাত্রীদের টিকিট-ভাড়া বাবদ মোট ৬১০ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে ইন্ডিগো। বাকি টাকাও ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া, যাত্রীদের ৩,০০০-এরও বেশি মালপত্রও ফিরিয়ে দিয়েছে বিমানসংস্থাটি।
আরও পড়ুন:
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষকে শো কজ় করেছিল দেশের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। এমন চরম অব্যবস্থা কেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশদ জানতে চাওয়া হয় তা-ও। কারণ দর্শানোর জন্য অতিরিক্ত এক দিন সময় চেয়েছিল ইন্ডিগো।
বিমান বাতিলের কারণে সমস্যায় পড়া যাত্রীদের সমস্ত টাকা রবিবার রাত ৮টার মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ইন্ডিগো-কে। সন্ধ্যায় কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানায়, এখনও পর্যন্ত যাত্রীদের টিকিট-ভাড়া বাবদ মোট ৬১০ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে ইন্ডিগো। বাকি টাকাও ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া, যাত্রীদের ৩,০০০-এরও বেশি মালপত্রও ফিরিয়ে দিয়েছে বিমানসংস্থাটি। তাদের সেই আর্জি মঞ্জুর করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে ইন্ডিগোকে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে পাইলট এবং বিমানকর্মীদের কাজের সময় এবং বিধি নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল দেশের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। ‘ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস’ নামের ওই বিধি ১ নভেম্বর থেকে চালু হয়েছে। আর তাতেই বিপাকে পড়েছে ইন্ডিগো। এই নিয়মবিধি মেনে উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হচ্ছিল না তাদের। অন্য বিমানসংস্থাগুলির তুলনায় কিছুটা সস্তায় যাত্রীদের উড়ান পরিষেবা দিয়ে থাকে ইন্ডিগো। তাদের অনেক বিমানই রাতে অবতরণ করে। তাই নয়া বিধিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে এই বিমানসংস্থাই। নয়া বিধি মেনে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে যত সংখ্যক কর্মী এবং পাইলট প্রয়োজন, বর্তমানে তা ইন্ডিগোর নেই। ফলে চরম সঙ্কট তৈরি হয়েছে। যার জেরে যাত্রীদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।