আত্মহত্যা না কি খুন? রাজস্থানের কোটায় এক নিট পরীক্ষার্থীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য বাড়ছে। শনিবার হস্টেলের ঘর থেকে ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘরের বিছানায় উপুড় হয়ে পড়ে ছিলেন ছাত্র। তাঁর নাক-মুখ থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই সন্দেহ করছে পুলিশ। যদিও পড়ুয়ার বাবার দাবি, তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করতেই পারেন না। ফলে স্বাভাবিক ভাবে এই মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিট পরীক্ষার্থীর নাম রোশনকুমার পাত্র (২৪)। থাকতেন কোটার রাজীব গান্ধী নগরের একটি হস্টেলে। ওড়িশার গঞ্জাম জেলার বাসিন্দা রোশন এবং তুতো ভাই নিট পরীক্ষার কোচিং নিতে গিয়েছিলেন কোটায়। তাঁরা একই হস্টেলে থাকতেন। রোশনের বাবা রাধেশ্যাম বলেন, ‘‘শুক্রবার রাতেও ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। ৪০ মিনিট ধরে অডিয়ো এবং ভিডিয়ো কলে কথা হয়। সেই সময় হেসে হেসেই কথা বলছিল। ও যে কোনও মানসিক চাপে রয়েছে, এমন কোনও ইঙ্গিতই ছিল না। আমার ছেলে আত্মহত্যা করতেই পারে না।’’
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাতে পড়াশোনা করেন রোশন। তার পর সকলে শুতে চলে যান। শনিবার সকালে রোশনের ভাই তাঁকে ডাকতে যান। কিন্তু ঘরের দরজা না খোলায় তিনি ভেবেছিলেন রোশন ঘুমোচ্ছেন। কোচিংয়ে যাওয়ার সময় হয়ে গেলেও রোশন দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় তাঁর। তখন ওয়ার্ডেনকে খবর দেন। ওয়ার্ডেন চাবি দিয়ে দরজা খুলতেই দেখেন, বিছানায় উপুড় হয়ে পড়ে রোশন। শরীরে কোনও পোশাক ছিল না। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। রোশনকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।