Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
India-Maldives Row

মলদ্বীপের সঙ্গে সংঘাতের আবহে লক্ষদ্বীপে চালু হচ্ছে বিমানবন্দর! মোতায়েন বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের একাধিপত্যের মোকাবিলা করতে সক্রিয় মোদী সরকার। আমেরিকার নেতৃত্বে গড়া কোয়াড-এ তারা প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৫
Share: Save:

সম্প্রতি ভারতের ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লক্ষদ্বীপে গিয়ে পড়শি দেশ মলদ্বীপের কয়েক জন মন্ত্রীর নিশানা হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে মলদ্বীপের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপড়েনের আবহেই এ বার আরব সাগরের সেই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নয়া বিমানবন্দর চালু হতে চলেছে।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে লক্ষদ্বীপের মিনিকয়ের ওই নয়া বিমানবন্দরে রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান ওঠা-নামার উপযোগী রানওয়ে। সরকারি সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে সামরিক এবং অসামরিক দু’ধরনের প্রয়োজনীয়তার কথা ভাবনায় রেখেই তৈরি হয়েছে নয়া বিমানবন্দর। প্রসঙ্গত, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের একাধিপত্যের মোকাবিলা করতে সক্রিয় মোদী সরকার। আমেরিকার নেতৃত্বে গড়া কোয়াড-এ তারা প্রভাব বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। কিন্তু তার আগে সমুদ্রপথ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে পড়ছে সাউথ ব্লক। তার অন্যতম কারণ মলদ্বীপের সদ্যনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, ‘চিন ঘনিষ্ঠ’ মহম্মদ মুইজ়ু।

মুইজ়ু দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে একের পর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যা নিয়ে নয়াদিল্লি-মালে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। এই আবহে সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লক্ষদ্বীপে গিয়েছিলেন মোদী। সেই সফরের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অভিযোগ, মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী, মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজ়ুম মাজিদ কিছু ছবিতে মোদীকে ‘পুতুল’ এবং ‘জোকার’ বলে মন্তব্য করেন। ভারত-ইজ়রায়েল সম্পর্ক নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। পরে অবশ্য বিতর্কের মুখে পোস্টগুলি মুছে দেওয়া হয়।

এই পরিস্থিতিতে মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি (যাঁকে পরাজিত করে মুইজ়ু সম্প্রতি ক্ষমতায় এসেছেন) এবং আর এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ মোদীর সমালোচনা করা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তোলেন। তাঁরা জানান, ভারত মলদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ ‘মিত্র’। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এর পরই ঘরে-বাইরে চাপের মুখে রবিবার মুইজ়ু সরকার তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু নয়াদিল্লি-মালে কূটনৈতিক টানাপড়েনের ইতি হয়নি তাতে। বিশেষত, ভারতীয়রা সমাজমাধ্যমে মলদ্বীপ বিরোধী প্রচারের ঝড় তুলেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE