মলাক্কা প্রণালীর কাছে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’ ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে তা নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কথা। কিন্তু তার মধ্যেই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে গিয়েছে। নিজস্ব গতিতে তা উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘ডিটওয়া’। আগামী রবিবার, ৩০ নভেম্বর তা স্থলভাগে আছড়ে পড়তে চলেছে।
বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টের মাধ্যমে নতুন ঘূর্ণিঝড়ের কথা জানিয়েছে মৌসম ভবন। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়া’ তৈরি হয়েছে। এটি শ্রীলঙ্কার পোট্টুভিল শহরের কাছে বাট্টিকালোয়া থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। চেন্নাই থেকে ঘূর্ণিঝড় এখনও ৭০০ কিলোমিটার দূরে। তবে আগামী কয়েক দিকে ঘূর্ণিঝড় ক্রমে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে। ৩০ নভেম্বর উত্তর তামিলনাড়ু-পুদুচেরী এবং দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে তা আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
‘ডিটওয়া’ নামটি রেখেছে ইয়েমেন। নতুন এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ভারতে। বৃহস্পতিবার থেকেই সতর্কতা জারি করে দেওয়া হয়েছে চেন্নাই, তিরুভাল্লুর, নাগপট্টিনমের মতো শহরে। শনিবার পর্যন্ত কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধির দিকে নজর রেখেছে মৌসম ভবন। তার ভিত্তিতে আগামী দিনে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
বুধবার ভোরে মলাক্কা প্রণালীর কাছে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম প্রস্তাব করে, যার অর্থ সিংহ। বুধবার বিকেলে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে। তার পর তা ক্রমে শক্তি হারিয়েছে। আবহবিদেরা এই ঘূর্ণিঝড়কে ‘বিরল’ আখ্যা দিয়েছিলেন। এর জেলে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি চলেছে তামিলনাড়ুর উপকূলীয় অঞ্চলেও। একটি ঘূর্ণিঝড়ের রেশ কাটতে না কাটতে এ বার ওই এলাকায় আরও একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হল। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে এই সমস্ত ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব পড়ছে না।