E-Paper

সন্ত্রাসকে জলভাত করবেন না, দিল্লির পরামর্শ ঢাকাকে

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শিবিরে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকেই সার্ক সম্মেলন গতি হারায়। ওই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে ভারত তখন বলেছিল, সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:২৭

— প্রতীকী চিত্র।

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন নিয়ে ঢাকাকে কঠোর বার্তা দিল নয়াদিল্লি। জানানো হল, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর উদ্বেগ আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন।

একটি প্রশ্নের জবাবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জায়সওয়াল বলেন, সম্প্রতি মাস্কাটে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা ও কথা হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের। সেখানে সার্ক-কে চাঙ্গা করে তুলতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জয়শঙ্করকে অনুরোধ করা হয়। জায়সওয়ালের বক্তব্য, “বাংলাদেশের তরফ থেকে সার্কের প্রসঙ্গ তোলা হয়েছিল জয়শঙ্করের কাছে। অথচ দক্ষিণ এশিয়ার প্রত্যেকেই জানে কোন দেশ এবং তাদের কোন কার্যকলাপ সার্ককে স্থগিত করে রেখেছে। বাংলাদেশকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন সন্ত্রাসবাদকে জলভাত করে না দেখে।”

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শিবিরে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকেই সার্ক সম্মেলন গতি হারায়। ওই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে ভারত তখন বলেছিল, সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।

গত কালই দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বৈঠকে বিজিপি-র ডিজি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে সন্ত্রাসের বিষয়টি প্রচারমাধ্যমের বানানো, অতিরঞ্জিত। দুর্গাপুজোর সময়েও যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ এই নিয়ে জানতে চাওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জায়সওয়াল। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাম্প্রতিক ওয়াশিংটন সফরেও বিষয়টি নিয়ে ভারতের তরফে উদ্বেগ জানানো হয়েছে আমেরিকাকে। তাঁর কথায়, “আমরা সবাই এ ব্যাপারে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল যে গত কয়েক মাস ধরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কী ভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ওয়াশিংটন সফরে বিষয়টি উঠেছিল। আমরা এ ব্যাপারে তাদের উদ্বেগ জানিয়েছি।” বাংলাদেশের কিছু উপদেষ্টার ভারত-বিরোধী মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রকে। জবাবে জয়সওয়াল বলেন, “ভারত এ সব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও আমাদের গোচরে রয়েছে। এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাঁদেরই ভেবে দেখা দরকার।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bangladesh Central Government

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy