Advertisement
E-Paper

নজরে আল কায়দা যোগ, নরেন্দ্র মোদীর উপরে হামলার ছক, ধৃত তিন জঙ্গি

খোঁজ চলছিল অনেক জায়গায়। দুই রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে মিলে মাদুরাইয়ের বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দিয়ে আজ তিন সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:৫৪

খোঁজ চলছিল অনেক জায়গায়। দুই রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে মিলে মাদুরাইয়ের বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দিয়ে আজ তিন সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।

পুলিশের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ দেশের বেশ কয়েক জন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল ধৃত এই তিন জঙ্গির। বিভিন্ন দেশের দূতাবাসেও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে।

প্রথমে অবশ্য আটক করা হয়েছিল সন্দেহভাজন চার ব্যক্তিকে। তার মধ্যে তিন জনকে পরে গ্রেফতার করা হয়। চতুর্থ জনকে জেরা করা হচ্ছে বলে পুলিশের দাবি। ধৃত তিন জঙ্গির নাম সুলেমান (২৩), সামসুম করিম রাজা এবং আব্বাস আলি (২৭)। তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এদের ধরতে তামিলনাড়ু এবং তেলঙ্গানা পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে অভিযান চালায় এনআইএ।

পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া কিছু তথ্যের ভিত্তিতে কিছু জায়গায় অভিযানে নামে এনআইএ। দক্ষিণ তামিলনাড়ু এবং মাদুরাইয়ের আশপাশে আল কায়দার কয়েক জন সন্দেহভাজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে জানতে পারে তারা।

পুলিশের দাবি, দক্ষিণ তামিলনাড়ুতে আল কায়দার একটি শাখা সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল ধৃত তিন জঙ্গি। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসে কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটকের বেশ কয়েকটি আদালতে বিস্ফোরণেও তাদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ।

এনআইএ মুখপাত্রের দাবি, ৭ এপ্রিল অন্ধ্রের চিত্তুরে জেলা আদালতের পার্কিংয়ে রাখা একটি গাড়িতে, ১৫ জুন কেরলের কোল্লামে সিজেএম আদালত চত্বরে পার্কিংয়ে, ১ অগস্ট মাইসুরুর একটি আদালত চত্বরে এবং ১ নভেম্বর কেরলের মল্লপুরমে বিচারবিভাগীয় আদালতের শৌচালয়ের কাছে যে সব বিস্ফোরণ ঘটেছে, তাতে এই জঙ্গিদের হাত ছিল।

সুলেমান চেন্নাইয়ের বাসিন্দা। একটি সফটওয়্যার ফার্মে কাজ করে। সে-ই এই দলটির পাণ্ডা বলে মনে করছে এনআইএ। ধৃত আব্বাস আলির মাদুরাইতে বাড়ি। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা। পেশায় রং মিস্ত্রি। নিজের শহরে দারুল ইলম নামে একটি লাইব্রেরিও চালাত। সামসুম করিম রাজাও মাদুরাইয়ের বাসিন্দা। কমার্স গ্র্যাজুয়েট। মাংসের দোকান রয়েছে তার। চতুর্থ যে সন্দেহভাজনকে জেরা করা হচ্ছে, তার নাম মহম্মদ আয়ুব আলি (২৫)।

এনআইএ-র দাবি, জেরায় আদালত চত্বরে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে ওই তিন জন। প্যামফ্লেট, পেন ড্রাইভ, সিডি ব্যবহার করে তারা আল কায়দার নামে প্রচার চালাত।

বেঙ্গালুরুর এনআইএ-র বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়ার আগে চেন্নাই এবং মাদুরাইয়ের স্থানীয় আদালতে তোলা হবে ওই তিন জনকে।

Modi Narendra Modi Al-Qaida
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy