জম্মুর উধমপুরে হামলাকারী ধৃত জঙ্গি নাভেদ ইয়াকুবকে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। মঙ্গলবার নাভেদকে এনআইর-র বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারপতির কাছে নাভেদকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় তদন্তকারী সংস্থাটি। সেই আর্জি মঞ্জুর করেন বিচারপতি।
সোমবার সন্ধ্যায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ধৃত ওই লস্কর জঙ্গিকে জম্মুতে নিয়ে আসা হয়। এ দিন আদালতকে তদন্তকারী অফিসারররা জানান, আরও তদন্তের স্বার্থে নাভেদকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।
গত সপ্তাহেই এই মামলার দায়িত্ব নেয় তদন্তকারী সংস্থাটি। জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে তদন্ত চালিয়ে ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে তারা। নাভেদকে জেরা করে যে এক স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকের নাম উঠে আসে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযোগ, ওই ব্যবসায়ী নাভেদকে ৫ লক্ষ টাকা দেয় এবং ট্রাক চালক নাভেদ ও তাঁর সহযোগী মহম্মদ নোমান ওরফে মোমিনকে উধমপুরে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হলেও জীবন্ত ধরা পড়ে নাভেদ। ধরা পড়ার পরই সে কথা পাল্টে বিভিন্ন ভাবে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করছিল। বার বার প্রশ্নের মুখে পড়ে নাভেদ তদন্তকারীদের বলেন, “বার বার প্রশ্ন করা বন্ধ করুন। আমার যা বলার ছিল বলে দিয়েছি। এর থেকে বেশি কিছু আমার জানা নেই।”
গত ৫ অগস্ট উধমপুরে বিএসএফ কনভয়ের উপর হামলা চালায় নাভেদ ও তার সহযোগীরা। ওই হামলায় প্রাণ হারান দুই বিএসএফ জওয়ান। জওয়ানদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে মৃত্যু হয় মহম্মদ নোমান নামে এক লস্কর জঙ্গির। নাভেদ উধমপুরের পাঁচ বাসিন্দাকে পণবন্দি বানিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পণবন্দিরা তার সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে। তাঁদের বাহাদুরিতে সেনার হাতে গ্রেফতার হয় নাভেদ।